মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
জোটের একুশে অনুষ্ঠান

কোথাও সাংস্কৃতিক মঞ্চ করা হচ্ছে না

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের অমর একুশের অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধনের সময় অভিযোগ করা হয়েছে, সরকারি আমলারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, অথচ কোথাও একটি সাংস্কৃতিক মঞ্চ নির্মাণ করা হচ্ছে না।

গতকাল জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ও নাট্যাভিনেতা ঝুনা চৌধুরী। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু। আলোচনা, সংগীত ও আবৃত্তি দিয়ে সাজানো ছিল প্রথম দিনের আয়োজন। শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানমালা। এরপর জাতীয় সংগীত ও একুশের গান পরিবেশন করেন সাংস্কৃতিক সংগঠন বহ্নিশিখার শিল্পীরা। বক্তারা বলেন, এবারের একুশ আমাদের কাছে নতুন তাৎপর্য নিয়ে হাজির হয়েছে।

 একদিকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ। আমাদের হৃদয়ে, আমাদের চেতনায় তাই এটি অনন্য হয়ে থাকবে। একুশে ফেব্রুয়ারি এলেই আমরা বাংলা ভাষা প্রচলনের জন্য নানা কথা বলি, বক্তৃতা দিই, কিন্তু সারা বছর সেই উদ্যোগ দেখি না।

আলোচনা শেষে একক সংগীত পরিবেশন করেন আরিফ রহমান। আবৃত্তি করেন রেজীনা ওয়ালী লীনা এবং রফিকুল ইসলাম।

বারীণ মজুমদারের জন্মশতবর্ষ : আলোচনা, পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, প্রদীপ প্রজ্বালন, তথ্যচিত্রের প্রদর্শন ও শাস্ত্রীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে প্রয়াত সংগীতজ্ঞ পন্ডিত বারীণ মজুমদারের জন্মশতবর্ষ উদযাপন করেছে সংগীতজ্ঞের পরিবার। গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এই আয়োজন। শুরুতেই স্টেজের সামনে স্থাপিত বারীণ মজুমদার ও তার পত্নী ইলা মজুমদারের প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এরপর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শত প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়। 

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অতিথি ছিলেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, সরকারি সংগীত কলেজের অধ্যক্ষ কৃষ্টি হেফাজ, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। পরিবারের পক্ষে বাবার স্মৃতিচারণ করেন কনিষ্ঠ পুত্র বাপ্পা মজুমদার।

আলোচনা শেষে শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করেন  অভিপ্রিয় চক্রবর্তী। রাগ ভূ-পালি দিয়ে শুরু করে বেশ কয়েকটি রাগ পরিবেশন করেন এই শিল্পী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর