কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া আরও ২ হাজার ২৬০ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১১ হাজার ৮৫২ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে স্থানান্তর হলেন। গতকাল সকাল ১০টা ২০ মিনিটে দুটি, বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে দুটি এবং দুপুর সাড়ে ১২টায় দুটি জাহাজ তাদের নিয়ে পতেঙ্গা বোট ক্লাবসংলগ্ন জেটি ছেড়ে যায়। জাহাজগুলো ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গা নিয়ে দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে ভাসানচরে পৌঁছে বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোজাম্মেল হক। সেখানে নৌবাহিনীর দায়িত্বরত সদস্যরা তাদের ভাসানচরে স্বাগত জানান। এ দফায় রোহিঙ্গাদের মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়। গতকাল ভোর থেকে নৌবাহিনীর তত্ত¡াবধানে তাদের জাহাজে ওঠানো হয়। রিয়ার অ্যাডমিরাল মোজাম্মেল হক উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা প্রায় ১২ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়েছি। আগামীতে স্বেচ্ছায় যেতে আগ্রহী আরও রোহিঙ্গাকে সেখানে পাঠানো হবে।’ প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে তিন বছর আগে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নেন। এর আগে থেকে ২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা কক্সবাজারের নিবন্ধিত ক্যাম্পে অবস্থান করে আসছেন। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এদিকে কক্সবাজারের মাত্র দুটি উপজেলায় লাখ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেওয়ায় পরিবেশ, সামাজিক বিপর্যয়সহ নানা সমস্যা দেখা দিলে সরকার ১ লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়ন শুরু হয়। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে গত বছর ধাপে ধাপে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর শুরু হয়।