শুক্রবার, ৭ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে সরকারি হাসপাতালের ৮০ শতাংশ শয্যা শূন্য

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে সরকারি হাসপাতালের ৮০ শতাংশ শয্যা শূন্য

চট্টগ্রামে কমে আসছে করোনার সংক্রমণ। ফলে আইসোলেশন সেন্টারে কমে আসছে রোগীর সংখ্যা। ছবিটি গতকাল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত আইসোলেশন সেন্টার থেকে তোলা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

চট্টগ্রামে প্রতিদিনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন ১৫০ থেকে ২০০ জন। তবে এর অধিকাংশ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়ায় সরকারি হাসপাতালের ৮০ শতাংশ শয্যাই শূন্য। একই সঙ্গে রোগী কমেছে বেসরকারি হাসপাতালেও।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালে সাধারণ শয্যা আছে ৯৫০টি আর বেসরকারি হাসপাতালে ৬৫০টি। বুধবার সরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি ছিলেন ১৮৭ জন, শয্যা শূন্য ছিল ৭৬৩টি। বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি ছিলেন ৪২২ জন, শয্যা খালি ছিল ২২৮টি। মঙ্গলবার সরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি ছিলেন ১৮৭ জন, শয্যা শূন্য ছিল ৭৬৩টি। বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি ছিলেন ৪২০ জন, শয্যা খালি ছিল ২৩০টি। এভাবে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ক্রমেই কমছে। তবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ঈদবাজার কেন্দ্র করে মানুষ যে হারে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলছে তাতে সংক্রমণ ফের বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। তাই মাস্কসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি সবার মেনে চলা উচিত। সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে করোনা সংক্রমণ তুলনামূলক কম। আক্রান্ত হলেই হাসপাতালে যাচ্ছেন না। অক্সিজেনের প্রয়োজন বা তীব্র কোনো সমস্যা না হলে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন না। চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। এটি ভালো দিক। তবে রোগীর অবস্থা তীব্র হলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।’ চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের কনসালট্যান্ট ডা. এইচ এম হামিদুল্লাহ মেহেদী বলেন, ‘আক্রান্তের পর অনেকেই এখন আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন না। প্রাইভেট, অনলাইন টেলিমেডিসিনসহ নানাভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। আমি নিজেও প্রতিদিন দুই থেকে চারজন পজিটিভ রোগী দেখছি। তাই হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক কম।’ তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি কম হলেও অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অন্যথায় সবাইকে এর চরম মূল্য দিতে হবে।’ জানা যায়, চট্টগ্রামে বুধবার এক দিনে করোনায় আক্রান্ত হন ১৫৫ জন। মহানগরে ১২০ আর উপজেলায় ৩৫ জন। ওইদিন মারা গেছেন চারজন। গতকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত ৫০ হাজার ৭৭৫ জন। মহানগরে ৪০ হাজার ৬৬৯ আর উপজেলায় ১০ হাজার ১০৬ জন। মারা গেছেন ৫৪৯ জন। মহানগরে ৪০৬ আর উপজেলায় ১৪৩ জন। চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি ১০টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর