মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

এবার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু

রাজধানীতে ১২ দিনে ৭৯৬ জন আক্রান্ত, চাপ বেড়েছে হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিবেদক

এবার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু

করোনার মধ্যেই দাপট দেখাতে শুরু করেছে ডেঙ্গু। জুলাইয়ের প্রথম ১২ দিনেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৭৯৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের ৫৮৭ জন চিকিৎসা শেষ করে হাসপাতাল ছেড়েছেন। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০৯ জন রোগী। প্রতিদিনই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসায় চাপ বেড়েছে দেশের হাসপাতালগুলোতে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০৯ জন রোগী। এর মধ্যে রাজধানীর ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ২০৮ জন ও ঢাকার বাইরে একজন রোগী ভর্তি রয়েছেন। বলা হয়, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৭০ জন। এ ছাড়া চলতি মাসে গতকাল পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৫৮৭ জন। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, এই বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো তথ্যমতে, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় স্যার সলিমউল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঁচজন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে দুজন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে একজন, বেসরকারি বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে ৬২ জন ডেঙ্গু ও সন্দেহজনক ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ১১ জন, ধানমন্ডিতে ইবনে সিনা হাসপাতালে তিনজন, সেন্ট্রাল হাসপাতালে পাঁচজন, কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে ১৭ জন ছাড়াও বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছেন রোগীরা।

কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন ৪০ জন। আর মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২৬ রোগী। রোগীর চাপ বাড়ায় ডেঙ্গু ইউনিট খোলার কথাও ভাবছে কোনো কোনো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেন, ডেঙ্গু রোগীর ক্ষেত্রে আমরা প্লাটিলেট কাউন্টকে ইন্ডিকেটর হিসেবে দেখি। প্লাটিলেট কাউন্টিং মেশিন দিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত রোগীদের সুপারভাইস করছি।

বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে জানা যায়, আরামবাগ, বাসাবো, খিলগাঁও এলাকা থেকেই ডেঙ্গু রোগী আসছে বেশি। এসব এলাকায় নিয়মিত মশক নিধন অভিযান পরিচালনা হয় না বলে অভিযোগ রোগী ও তাদের স্বজনদের।

এদিকে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, দায়িত্বটা কিন্তু যার বাড়ি তাকে নিতে হবে। তাহলে ৬৫ শতাংশ কমে আসবে ডেঙ্গু। ডেঙ্গু নির্মূলে সিটি করপোরেশনের প্রতিটি অঞ্চলে চিরুনি অভিযান চলবে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর