সোমবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বিএনপির ফন্দিফিকির আমরা বুঝি : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ফন্দিফিকির আমরা বুঝি : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি বেগম খালেদা জিয়াকে অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে দিতে চায় যেন সেখান থেকে তিনি বেআইনিভাবে রাজনীতি করতে পারেন। যা তারেক রহমান করছেন। আমরা বিএনপির ফন্দিফিকির বুঝি। বিএনপির দাবি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত নয়, রাজনৈতিক; কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। গতকাল দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের দারুস সালাম থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ওয়ার্ড সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে দারুস সালাম থানার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ ফরিদুল ইসলাম হ্যাপীর সঞ্চালনায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান সম্মেলন উদ্বোধন করেন।

 বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান ও এ বি এম মাজহারুল আনাম, কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল হাসনাত এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল আনসারী প্রমুখ।

ড. হাছান বলেন, এখন মনে হচ্ছে বিএনপির রাজনীতিটা আর জনগণের জন্য নয়, একমাত্র খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য। গত ১৫-২০ দিন ধরে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য যদি শোনেন তাহলে দেখতে পাবেন, অন্য কোনো বক্তব্য নেই, খালেদা জিয়ার কি হয়েছে সেটিই তারা প্রতিনিয়ত বলছেন। গতকাল টেলিভিশনের পর্দায় দেখলাম মির্জা ফখরুল সাহেব বলছেন, খালেদা জিয়ার পেটে কি কি সমস্যা হয়েছে। এখন মির্জা ফখরুল, রিজভী, গয়েশ্বর সাহেবও বড় ডাক্তার হয়ে কথা বলা শুরু করেছেন। আজ মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়াকে না কি আইনের ধারা বলে বিদেশে পাঠানো যাবে। এখন মনে হচ্ছে ফখরুল সাহেব ডাক্তার নন, ভিতরে ভিতরে ব্যারিস্টারও হয়েছেন, আইনেরও ব্যাখ্যা দেওয়া শুরু করেছেন।

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি যখন ছাত্র ছিলাম তখন আমি নিজেও বাসে হাফ ভাড়া দিয়ে চলেছি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় শহর থেকে বাসে যেতাম হাফ ভাড়া দিয়ে। তখন সরকার বাস মালিকদের কোনো প্রণোদনা দিত না। বাস মালিকরাও প্রণোদনা দাবি করেনি। তারা বিনা প্রণোদনায়ই ছাত্রদের হাফ ভাড়া দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আজকে কেন প্রণোদনা লাগবে, সেটি আমার ব্যক্তিগত জিজ্ঞাসা। একটি বাসে ৪০ থেকে ৫০ জন যাত্রী থাকেন। সেখানে দু-তিন-পাঁচজন ছাত্র থাকে এবং এতে বাস মালিকদের কি অসুবিধা হবে, সেটি আমার ব্যক্তিগত প্রশ্ন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর