সোমবার, ২০ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

দুর্গতদের জন্য সামর্থ্যরে সর্বোচ্চ করব : সেনাপ্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

দুর্গতদের জন্য সামর্থ্যরে সর্বোচ্চ করব : সেনাপ্রধান

কোম্পানীগঞ্জে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ -আইএসপিআর

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জে যে বিপর্যয় নেমে এসেছে এটা অভাবনীয়। রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। মানুষ খুবই বিপদে আছে। সেনাবাহিনী দুর্গত মানুষের সহায়তায় যথাসম্ভব কাজ করে যাচ্ছে। সিলেট ছাড়াও চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ঢাকার সাভারসহ বিভিন্ন সেনানিবাস থেকে সেনাসদস্যদের এনে বিপন্ন মানুষদের সহায়তার কাজে লাগানো হয়েছে। সেনাবাহিনী তাদের সামর্থ্যরে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবে। তিনি বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে বলেন, সেনাসদস্যদের সর্বাত্মকভাবে ত্যাগের মনোভাব নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। গতকাল সিলেটে বন্যাকবলিত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিদর্শনে যান সেনাপ্রধান। পরে উপজেলার বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি। আইএসপিআর জানায়, সেনাপ্রধানের সফরকালে মাস্টার জেনারেল অফ অর্ডন্যান্স মো. আবু সাঈদ সিদ্দিক, ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল হামিদুল হক, সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, সিলেট জেলার পুলিশ সুপার এবং গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৭ জুন সেনাবাহিনীর সিলেট অঞ্চলের ১৭ পদাতিক ডিভিশন সিলেট জেলার সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলা এবং সুনামগঞ্জ জেলার সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, দিরাই ও জামালগঞ্জ উপজেলা এবং কুমারগাঁও বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করছে। সেনাবাহিনীর অন্যান্য ফরমেশন হতে সিলেট এলাকায় উদ্ধার কাজে সহায়তার জন্য বিভিন্ন নৌযান মোতায়েন করা হয়। এ ছাড়াও কমান্ডো ব্যাটালিয়নের সদস্যগণ উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন।

উল্লেখ্য, সেনাসদস্যরা গত ১৮ জুন সুনামগঞ্জ থেকে এমআইএসটি- এর ১৫ জন শিক্ষার্থী এবং গতকাল সুনামগঞ্জের ছাতকে আটকে পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে এসেছে।

সিলেট ও সুনামগঞ্জে কাজ করছে নৌবাহিনী : সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা মোকাবিলায় কাজ করছে নৌবাহিনীর বোট ও ডুবুরি দল। বন্যাকবলিত এলাকা থেকে মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে আনতে নৌবাহিনীর ছয় কর্মকর্তার নেতৃত্বে ১২টি জেমিনি বোট ও ৩৫ জন ডুবুরি সদস্য উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম নৌঅঞ্চল থেকে দুটি উদ্ধারকারী দল এসে কাজ শুরু করেছে। এ ছাড়া উদ্ধারকার্য পরিচালনায় বিভিন্ন পদবির ১০০ নৌসদস্য নিয়োজিত রয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর