শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

রাজশাহী অঞ্চলে যুক্ত হচ্ছে নতুন দেড় হাজার কিলোমিটার সড়ক

একই প্রকল্পের মধ্যে সেতু এবং কালভার্টও রয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রাজশাহীজুড়ে নতুন আরও ১ হাজার ৬৯৬ কিলোমিটার সড়ক হচ্ছে। এসব সড়ক নির্মিত হলে রাজশাহী বিভাগের প্রত্যন্ত গ্রামীণ জনপদেও ঘুরবে অর্থনীতির চাকা।

আর্থ-সামাজিক উন্নতির জন্য রাজশাহী বিভাগে নতুন এ উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। একই প্রকল্পের মধ্যে সেতু ও কালভার্টও আছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ‘রাজশাহী বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। বিশেষ করে খামার ও অঞ্চলভিত্তিক কৃষি অর্থনীতিকে আরও সহজতর করা এবং স্কুল ও হাসপাতালের মতো প্রাথমিক সেবা সহজ করতে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে এ প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। আগামী অর্থ বছরের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে গ্রামীণ পরিবহন ও বাজার সেবার স্থায়িত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামীণ পরিবেশ উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা অনেকাংশে দূর হবে। প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে জীবনযাত্রার মান ও জীবিকার ক্ষেত্র বাড়াতেও অবদান রাখবে। এলজিইডির রাজশাহী বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কে এম জুলফিকার আলী জানান, ১৪০ মিটার সেতুসহ ১৭২ দশমিক ৯ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক, ৬৩৬ মিটার সেতুসহ ৩৬৭ দশমিক ৭৬ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক ও ৭৬২টি প্রকল্পের অধীনে পাঁচ বছর মেয়াদি সেতুসহ ১ হাজার ১৫৬ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ করছেন তারা। রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া ও জয়পুরহাটের মোট ৫৮টি উপজেলায় ২ হাজার ৮০ দশমিক ৪০ কোটি টাকার এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পটির আওতায় ২৫০ মিটার স্কুল সংযোগ সড়ক, ৩৯৬ দশমিক ৮৩ মিটার কালভার্ট এবং ৩৩ দশমিক ২৮ কিলোমিটার আরসিসি সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রশস্ত করা হচ্ছে ৩২৭ দশমিক ৫৯ কিলোমিটার রাস্তা। যেখানে ১৭১ দশমিক ৭ কিলোমিটার সড়ক ও ৪০ কিলোমিটার সড়ক মেরামত করা হচ্ছে।

নাটোর এলইজিডির নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামোর আওতায় সড়কগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হলে এ অঞ্চলে যোগাযোগে বিশাল পরিবর্তন আসবে। স্থানীয় কৃষি পণ্য পরিবহনে সুবিধা হবে। এ ছাড়া কিছু সড়ক প্রয়োজন ছিল আগে থেকেই। স্থানীয় সরকার বিভাগ তার চাহিদা দিয়েছিল। এখন প্রকল্পটি গ্রহণ হওয়ায় সেই সমস্যারও সমাধান হবে। বগুড়া এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোর্শেদ জানান, গ্রামীণ কাঁচা সড়কের পাশাপাশি অনেক পাকা সড়কও বেহাল। এ প্রকল্পের ফলে নতুন সড়ক যোগাযোগ বাড়বে। যা গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করতে ভূমিকা রাখবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর