শনিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য চাই স্মার্ট আইন : মেনন

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য চাই স্মার্ট আইন : মেনন

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ঔপনিবেশিক আইন পরিবর্তন করতে হলে সংসদে আইনপ্রণেতাদের প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্লোগান উঠেছে। এ ক্ষেত্রে প্রধান কাজ হবে স্মার্ট আইন তৈরি করা; তা হলেই কেবল স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট আইন চাই। রাশেদ খান মেনন গতকাল বিকালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২ নম্বর হলে বাংলাদেশ আইনজীবী সংসদের উদ্যোগে ‘ঔপনিবেশিক আইন ও বর্তমান প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তৃতা করছিলেন।

প্রধান আলোচক ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আইনজীবী সংসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আকসির এম চৌধুরী। ধারণাপত্র পেশ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফিরোজ আলম। বক্তব্য দেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, নড়াইল বারের সিনিয়র আইনজীবী নজরুল ইসলাম, সাবেক এমপি টিপু সুলতান, সিনিয়র আইনজীবী জোবায়দা পারভীন প্রমুখ।

মেনন বলেন, আমলা-ব্যবসায়ীমুক্ত সংসদ ও ঔপনিবেশিক আইন বদলাতে হলে আইনজীবী, আইনপ্রণেতা ও ল কমিশনকে ভূমিকা রাখতে হবে। ’৭২ সালের সংবিধানের কিছুদিন পর দেখা গেল ৫৪ ধারার মতো বিশেষ ক্ষমতা আইন ও জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগের আইন করা হলো। এ পর্যন্ত কেউ এ আইন বাতিল করেনি। ’৭৫ সালে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স আইন হয়েছিল; পরে তা বাতিল হলো। অপারেশন ক্লিনহার্ট পরে ইনডেমনিটি দেওয়ার কারণে এ সময় যারা আহত-নিহত হয়েছিল তারা বিচার পায়নি। এখনো বিদ্যুতের ওপর ইনডেমনিটি আছে। যে কারণে জনগণ ভোগান্তির মধ্যে আছে। বারবার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ছে।

জেড আই খান পান্না বলেন, সরকারি দুর্নীতিবাজদের ধরতে হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। এটা ঔপনিবেশিক আইন থাকার কারণে হয়েছে। আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঔপনিবেশিক আইন পরিবর্তন ও বিলুপ্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ২০ জেলার আদালতে ঔপনিবেশিক আইনি জটিলতার কারণে মানিকগঞ্জে প্রকাশ্যে ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছে। আমলারা হলেন প্রজাতন্ত্রের চাকর; তারা আইনকে নানাভাবে নিজেদের পক্ষে নিয়ে জনগণের রাজা হয়ে বসে আছে। ঔপনিবেশিক আইন পরিবর্তন না হলে, এর পরিবর্তন হবে না। আইনজীবীদের এ অবস্থা বদলানোর জন্য জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। স্বল্পসংখ্যক আইনজীবী হলেও আন্দোলনটা শুরু করা দরকার। তিনি বলেন, বিচারপতি নিয়োগের জন্য নতুন আইন হচ্ছে; এ আইন যেন সৎ, যোগ্য, সক্ষম ব্যক্তিদের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয় যাতে তারা পক্ষপাতহীন থাকে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর