রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

সুন্দরবন করমজলে পর্যটকের ঢল

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও ইকোট্যুরিজম (প্রতিবেশ পর্যটন) কেন্দ্রে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটিসহ অন্যান্য দিনেও সুন্দরবনের এ পর্যটন কেন্দ্রটিতে পর্যটকদের ভিড় দ্বিগুণ বেড়েছে। বসন্তের শুরুতে গতকাল ছুটির দিনে এই ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রটিতে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটক আসেন। সুন্দরবনে করমজল ছাড়া হিরণ পয়েন্ট, হারবাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, জামতলা সিবিচ, টাইগার পয়েন্ট, দুবলারচর, বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড, ত্রিকোণ আইল্যান্ড, কলাগাছি ও দোবেকি পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের ভিড় বাড়ে। সুন্দরবনে আগত দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ট্রলার ও লঞ্চযোগে ম্যানগ্রোভ বনের নানা জায়গায় বেরিয়ে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এদিকে পর্যটকদের ভিড়ে সব রকমের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে হিমশিম খাচ্ছে বন বিভাগ। সুন্দরবন বিভাগ বলছে, ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড (বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা) সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য দেখতে দেশি-বিদেশি ইকোট্যুরিস্টদের রয়েছে প্রবল আগ্রহ। বাংলাদেশ অংশের ৬ হাজার ৫১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ ম্যানগ্রোভ বনের স্থল ও জলভাগে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রাহরিণ, কুমির, বিলুপ্তপ্রায় ইরাবতিসহ ছয় প্রজাতির ডলফিন, বিলুপ্তপ্রায় বাটাগুর বাচকা কচ্ছপসহ ৬৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী। সুন্দরীসহ ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল ও ১৩ প্রজাতির অর্কিড রয়েছে। পানিতে রয়েছে ২১০ প্রজাতির মাছ। দিনরাত ২৪ ঘণ্টায় ছয়বার তার রূপ বদলায় সুন্দরবন। ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রগুলোতে সারা বছরই পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকলেও শীত মৌসুমে শুরু থেকেই দেশি-বিদেশি পর্যটকের ভিড় বাড়তে থাকে এখানে। আর শীতের শেষ ভাগে এসে পর্যটকদের ভিড় বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর