সন্ধ্যার পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলিতে ওত পেতে থাকে ওরা। পথচারী, রিকশা আরোহী, যানজটে থাকা সিএনজি অটোরিকশার যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়। জনশূন্য রাস্তা, লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন এলাকায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে চক্রটি। সংঘবদ্ধ এই ছিনতাই চক্রের ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রবিবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কোতোয়ালি, মতিঝিল, খিলগাঁও, রামপুরা, হাতিরঝিল, সবুজবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন- মোহাব্বত মিয়া, মাসুম, ফজল খাঁ, সাইফ, আকাশ, আবু বকর, নজরুল ইসলাম, আলমগীর, জাহাঙ্গীর, সোহেল, সোহানুর রহমান সাগর, মামুন, লিটন, আলমাস, সুজন মিয়া, রাকিব, রিপন, কালাম, নজরুল ইসলাম, সুমন মৃধা, অন্তর হোসেন রবিন, আবদুর রসুল, কবির, ছামিদুল রহমান, ইকবাল হোসেন, কামরুল, শহীদুল ইসলাম উজ্জ্বল, কালু, সুমন, হৃদয় ও সাজিদ খান। গতকাল দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলীতে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা যেসব ব্যক্তির কাছ থেকে ছিনতাই করবে, তাদের আগে থেকে অনুসরণ করতে থাকে।
এরপর ওই ব্যক্তির সঙ্গে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের কথা বলে থাকে। একপর্যায়ে কথা বলতে বলতে ওই ব্যক্তিকে সুবিধামতো কোনো জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে ছিনতাইকারী চক্রের অন্য সদস্যরা উপস্থিত হয়। এরপর বিতর্কে জড়ায় ও মারধর শুরু করে। লোকজন এগিয়ে এলে বলে, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ মারামারি। ততক্ষণে ছিনতাইয়ের কাজটি তাদের চক্রের কেউ একজন সেরে ফেলে। চক্রের অধিকাংশই নেশাগ্রস্ত। এদের রাজধানীতে বসবাসের জন্য স্থায়ী কোনো বাসস্থান নেই।
লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা গত ছয় মাসে ৭৯টি অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ২৬৮ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছি।’