শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

রংপুরের ১৬ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ৮২ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুর বিভাগে ১৬টি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের কাছে ৮২ কোটি টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। বকেয়া নিয়ে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) কর্মকর্তারা বলছেন বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় তাদের যন্ত্রপাতি কিনতে সমস্যা হচ্ছে।

নেসকো রংপুর বিতরণ অঞ্চল সূত্রে জানা গেছে, রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) ও বিভাগের ১৫টি পৌরসভায় ৮২ কোটি ১৮ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলও সংশ্লিষ্টরা বকেয়া পরিশোধ করছে না। সবচেয়ে বেশি বকেয়া রয়েছে রসিকের কাছে। প্রতিষ্ঠানটিতে বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এর পরের অবস্থানে দিনাজপুর পৌরসভা। সেখানে বকেয়ার পরিমাণ ২১ কোটি ৮ লাখ টাকা। এ ছাড়া পার্বতীপুর পৌরসভায় ৬ কোটি ২৪ লাখ, পঞ্চগড় পৌরসভায় ৩ কোটি ৬৪ লাখ, ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় ৩ কোটি ৬ লাখ ও সৈয়দপুর পৌরসভায় ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। এ ছাড়া গাইবান্ধা, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ ও কুড়িগ্রাম পৌরসভার কাছে বকেয়া রয়েছে ১৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। নেসকোর কর্মকর্তারা জানান, সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভাগুলোর বেশির ভাগ সড়ক বাতিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার বিদ?্যুৎ বিল বকেয়া আছে। জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন কিংবা কঠোর অবস্থানে যেতে পারছে না নেসকো। সেবামূলক এসব প্রতিষ্ঠানকে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারপরও বকেয়া আদায় হচ্ছে না।  

জানা গেছে, ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত রংপুর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বকেয়ার ১ কোটি ৩৩ লাখ এবং ১৫টি পৌরসভার পক্ষ থেকে ৬৮ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়।

রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, বিভিন্ন খাতে ২০১২ সালের প্রথম দিকে বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে আমাদের প্রায় ৩৬ কোটি টাকা পাওনা হয়েছিল। এ বিষয়ে গঠিত কমিটি সত্যতাও পেয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে স্থানীয় সরকার ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। তারপরও আমরা সাধ্যমতো বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছি। তবে বকেয়ার মধ্যে ভুতুড়ে বিলও রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

নেসকোর রংপুর বিতরণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, নেসকোকে নিজস্ব আয়ে চলতে হয়। বিদ্যুতের যন্ত্রপাতির দাম বেড়েছে। এত টাকা বকেয়া থাকায় যন্ত্রপাতি কিনতে তাদের সমস্যা হচ্ছে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিল আদায়ে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে নিয়মিত চিঠি ও মৌখিকভাবে অনুরোধ করা হয়। তারপরও ওই প্রতিষ্ঠানগুলো বকেয়া পরিশোধে গড়িমসি করছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর