শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন। তারা হলেন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মো. নাইমুর রহমান দুর্জয় ও অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সাকিব ফেরদৌস। তারা দুজনই কথিত প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্য বলে জানা গেছে। বর্তমানে মারধরের মামলায় কারাগারে রয়েছে। গতকাল সাময়িক বহিষ্কারের অনুমোদন দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এই দুই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না সাত কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তদন্ত কমিটি : ঢাবি ক্যাম্পাসভিত্তিক কথিত প্রলয় গ্যাং সদস্যদের চিহ্নিত করতে আন্তহল তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ তদন্ত কমিটি গঠনের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল রউফ মামুনকে আহ্বায়ক এবং সহকারী প্রক্টর ড. এম এল পলাশকে সদস্য সচিব করে আন্তহল তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, স্যার এ এফ রহমান হল, কবি জসীম উদ্দীন হল, জগন্নাথ হল, হাজী মুহম্মদ মহসিন হল, বিজয় একাত্তর হল, জিয়া হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথিত ‘প্রলয় গ্যাং’ নামে ঢাবির একদল শিক্ষার্থীর উত্থানের কথা জানা যায়। কথিত এই গ্যাং সদস্যদের আচরণে বখাটেপনা ও উচ্ছৃঙ্খলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী এই গ্যাং কার্যক্রম কোনোক্রমেই কাম্য হতে পারে না।
