বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

দীর্ঘ হলো ভোগান্তি, ফেরত গেল ৮ কোটি টাকা

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নষ্ট যন্ত্রপাতি মেরামতের জন্য বরাদ্দের ৮ কোটি টাকা ফেরত গেল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে। ফলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভোগান্তি আরও দীর্ঘ হলো রোগী ও তাদের স্বজনদের। সেই সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর অর্থ আয়ের সুযোগ বাড়ল- এমনটা মনে করছেন সচেতন মহল। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, সময়ের স্বল্পতার কারণে টাকা ফেরত গেছে।   

রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রমেক হাসপাতালের এনজিও গ্রাম মেশিনটি বিকল ছিল। এটি সম্প্রতি চালু করা হলেও ওই বিভাগের ইকো মেশিনগুলো নষ্ট হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘদিন। এ ছাড়া সিটিস্ক্যান মেশিন, রক্ত পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু যন্ত্রপাতি দীর্ঘদিন থেকে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। ফলে রক্তসহ বিভিন্ন পরীক্ষাও করতে হচ্ছে বাইরে থেকে। এ ছাড়া আরও কিছু যন্ত্রপাতি নষ্ট থাকার কারণে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। কিডনি ডায়ালাইসিস মেশিনটি মাঝে-মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে কিডনি চিকিৎসার যাবতীয় উপকরণ বাইরে থেকে কিনতে হয়। চলতি অর্থবছরে ওইসব নষ্ট মেশিনের সঙ্গে ভারী যন্ত্রপাতি মেরামতে ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ আসে। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে এসব যন্ত্রপাতি মেরামত করতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ১৪ মে হাসপাতালের পরিচালক স্বাস্থ্য সচিব বরাবর একটি চিঠি দিয়ে সে টাকা ফেরত পাঠান। বলা হয়, সময় স্বল্পতার কারণে চলতি অর্থবছরে যন্ত্রপাতি মেরামত করা সম্ভব নয়।

জেলা সুজনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন বলেন, যন্ত্রপাতি মেরামতের বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত যাওয়াটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এমনিতেই দীর্ঘদিন থেকে হাসপাতালের মেশিনসহ কিছু যন্ত্রপাতি নষ্ট অবস্থায় পড়ে আছে। এর ফলে বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় রোগীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য যাচ্ছেন। এতে রোগীর স্বজনরা অর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তিনি বরাদ্দ ফেরত আনিয়ে দ্রুত নষ্ট যন্ত্র মেরামতের দাবি জানান।  রমেক হাসপাতারের পরিচালক ডা. ইউনুস আলী বলেন, চলতি অর্থবছরে ওই টাকা ব্যয় করা সম্ভব নয়। কারণ টেন্ডার প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওই টাকা খরচ করতে হতো। সে সময় আমাদের হাতে ছিল না। আশা করি আগামী অর্থবছরে যন্ত্রপাতি মেরামতের বরাদ্দ আসবে।

 

 

 

সর্বশেষ খবর