২০২২ সালের আগস্টে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুকৃবি) অবৈধভাবে নিয়োগকৃত ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের আদেশ দেয় মন্ত্রণালয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আপিল ও শিক্ষক সমিতির আপত্তির মুখে চলতি বছরের ২৪ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘রিভিউ তদন্ত কমিটি’র মাধ্যমে নিয়োগের বৈধতা পুনঃযাচাই করে। তিন মাস ধরে সে প্রতিবেদনও পড়ে আছে মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ৩৮ জন শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে রয়েছে ১১ মাস। এ পরিস্থিতিতে ‘রিভিউ তদন্ত কমিটি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ জটিলতায় পুনঃসিদ্ধান্তের দাবিতে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছে শিক্ষক সমিতি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আশিকুল আলম বলেন, রিভিউ তদন্ত কমিটি ৭৩ জনের ফাইল ও নিয়োগের বৈধতা যাচাই করেছে। তিন মাস ধরে প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে। শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। দ্রুত বিষয়টির সমাধান না হলে কলম বিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষকরা।
জানা যায়, খুকৃবিতে স্বজনপ্রীতি ও ‘বিষয় বিশেষজ্ঞ’ ছাড়াই একই ব্যক্তিদের দিয়ে যাচাই বোর্ড গঠন করে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদন্তে সত্যতা মেলে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে খুকৃবির ৮১ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবৈধ নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সাবেক উপাচার্য শহীদুর রহমান খানের পরিবারের ৯ জন সদস্যও রয়েছেন। এতে বলা হয়, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্যের স্ত্রী অধ্যাপক পদে আবেদন করেছেন সেটিও বাতিল করতে হবে। তবে এ নির্দেশনার প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষক সমিতির নেতারা জানায়, ‘খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৫’ অনুযায়ী অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক নিয়োগে বাছাই বোর্ডে বিষয় ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ সদস্য রাখার বিধান রয়েছে। কিন্তু সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক নিয়োগে উক্ত বিধান নেই।’
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান ভিসি প্রফেসর ড. মো. আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় রিভিউ কমিটি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করেছে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।