তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমি আশা করি এবারও বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি, বেগম জিয়া যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। অতীতেও যখন তিনি অসুস্থ হয়েছিলেন তখনও বিএনপি বলেছিল এবং মেডিকেল টিম একই ধরনের ব্রিফ করেছিল যে, বেগম জিয়ার মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে, বিদেশে না নিলে তাঁকে বাঁচানো যাবে না। কিন্তু স্রষ্টার কৃপায় বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মেধাবী চিকিৎসা, সেবা-শুশ্রƒষায় তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
গতকাল সিনেমা হল মালিকদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তথ্যমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাতে গেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাসসহ সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী আরও বলেন, বেগম জিয়া যাতে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা পান সেজন্য সরকার আন্তরিক এবং যত ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন তা করছে। দেশের সবচেয়ে ভালো একটি হাসপাতালে তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে এটিও বলা হয়েছে, যদি কোনো বাইরের ডাক্তারও আনার প্রয়োজন পড়ে তাঁরা আনতে পারেন। আর বিদেশ পাঠানো সেটি আদালতের এখতিয়ার। যদি তাঁদের সেটাই করতে হয় তাহলে তাঁরা আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন। ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলকে বিএনপি বলেছে এ সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না’- এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এ কথা বারবার বলে আসছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও বলেছিল; পরে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। আমি আশা করব এবারও তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করল কি করল না তার চেয়েও বড় বিষয় হচ্ছে জনগণ অংশগ্রহণ করল কি না। বিএনপি ও তার মিত্ররা যদি নির্বাচন বর্জনও করে, জনগণের অংশগ্রহণে একটি আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন বাংলাদেশে যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। আমরা চাই তারা নির্বাচনে আসুক, সেজন্যই আমরা তাদের বারবার আহ্বান জানাচ্ছি।বঙ্গবন্ধু বায়োপিক মুক্তিতে মন্ত্রীকে হল মালিকদের ধন্যবাদ : দেশব্যাপী সর্বোচ্চসংখ্যক সিনেমা হলে বঙ্গবন্ধু বায়োপিক ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতারা।
বঙ্গবন্ধু বায়োপিক নিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা যে এ সিনেমা নির্মাণ সমাপ্ত করতে পেরেছি এজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই কারণ এ ছবি চিত্রনাট্য থেকে শুরু করে প্রতি ধাপে ধাপে প্রধানমন্ত্রী মনিটর করেছেন, দেখেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন। শ্যাম বেনেগাল যদি পরিচালক হন এখানে নির্দেশক হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্ক্রিপ্ট রাইটার যদি অতুল তেওয়ারি হয়ে থাকেন তাহলে স্ক্রিপ্ট রাইটারের প্রধান উপদেষ্টাও হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি একটুও বাড়িয়ে বলছি না, যেটি বাস্তব সেটিই বলছি। বঙ্গবন্ধু বায়োপিক সত্যিকার অর্থে ইতিহাসের একটি দলিল। ‘বঙ্গবন্ধু কীভাবে খোকা থেকে শেখ মুজিব, শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হলেন সেটিও এ ছবির মধ্যে উঠে এসেছে। ভারতের পুরো টিম আসবে। এ ছবি মানুষ দেখবে। এ ছবি জাতিকে নাড়া দেবে। আমি হল মালিকদের ধন্যবাদ জানাই, দেশের প্রায় সব কটি হলে প্রায় ২০০ পর্দায় একসঙ্গে এ ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে এবং সবাইকে অনুরোধ জানাব হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখার জন্য।