মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

লৌহজাত পণ্য রপ্তানিতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা চান উদ্যোক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশে উৎপাদিত স্টিল বা লৌহ ও লৌহজাত পণ্য বিদেশেও রপ্তানির সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। তাদের হিসেবে, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে স্টিল বা ইস্পাত পণ্য রপ্তানি করে বার্ষিক ১০ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ রয়েছে। গতকাল রাজধানীর গুলশানে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএমএ) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সভায় ব্যবসায়ীরা এসব বলেন। সভাপতির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ইস্পাত বা লৌহ ও লৌহজাত পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেটি খুঁজে বের করতে হবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং করণীয় নির্ধারণে- এ খাতের উদ্যোক্তারা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তৈরি করতে হবে। বেসরকারি খাতের অভিভাবক হিসেবে এফবিসিসিআই তাদের সেসব প্রস্তাব নিয়ে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলবে। রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণে লৌহ ও লৌহজাত পণ্য বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলেও জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। সভায় অংশ নিয়ে কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের অ্যাডভাইজার জিল্লুর হোসেন জানান, যুক্তরাজ্যসহ কমনওয়েলথের সদস্য দেশসমূহে বাংলাদেশের ইস্পাতসহ অন্যান্য রপ্তানি পণ্যের বড় সম্ভাবনা রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সরকারকেও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এ খাতের উদ্যোক্তারা বলেন, দেশে আন্তর্জাতিক মানের লৌহ ও লৌহজাত পণ্য তৈরি হচ্ছে। স্থানীয় কারখানাগুলোর উৎপাদন সক্ষমতার তুলনায় দেশের ইস্পাতের চাহিদা প্রায় ৫০ শতাংশ কম। এ সময়, লৌহ ও লৌহজাত পণ্যকে রপ্তানিমুখী শিল্পে রূপান্তরের জন্য সরকারের বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতা চান ব্যবসায়ীরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর