মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

বাবা-মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হায়দার আকবর খান রনো

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাবা-মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হায়দার আকবর খান রনো

বাবা-মা আর ছোট ভাইয়ের কবরের পাশে সমাহিত হলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আকবর খান রনো। গতকাল বিকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় তাঁর জানাজার নামাজ। রাজধানীর শমরিতা হাসপাতালের হিমঘর থেকে সকাল ১০টায় হায়দার আকবর খান রনোর লাশ নিয়ে যাওয়া হয় পল্টনে সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ‘মুক্তি ভবনে’। সেখানে দলের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর লাশ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে তাঁকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়। সাড়ে ১১টা থেকে সোয়া ১টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাশে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ জাসদ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণফোরাম, গণসংহতি আন্দোলন, ঐক্য ন্যাপ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টিসহ বিভিন্ন সংগঠন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। সবাই মুক্তিযুদ্ধসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রনোর অবদানের কথা স্মরণ করেন। হায়দার আকবর খান রনোর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট কলকাতায়। তাঁর পৈতৃক নিবাস নড়াইলের বরাশুলা গ্রামে। ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াকালে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ’৯০ দশকের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনসহ এরশাদ পতনের গণঅভ্যুত্থানের সংগঠক ছিলেন তিনি।

ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে দীর্ঘদিন থাকলেও ২০১০ সালে মতভিন্নতার কারণে দলটি ছেড়ে সিপিবিতে যোগ দেন তিনি। ২০১২ সালে সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পরে উপদেষ্টা হন তিনি। রাজনীতিকের পরিচয়ের বাইরে তিনি ছিলেন একজন তাত্ত্বিক ও লেখক। ২০২২ সালে তিনি ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’ পান। সুলেখক হিসেবে তাঁর প্রকাশিত অনেকগুলো গ্রন্থ রয়েছে।

সর্বশেষ খবর