রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলা রায় ঘোষণা থেকে উত্তোলন করে ফের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলার আসামি ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিনাত আক্তার। গতকাল ঢাকার ১২তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুনের আদালতে মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন বিচারক স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআইয়ের এসপি পদের নিচে নয়, এমন ব্যক্তি তদন্ত করবেন বলে বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোনে নকল করেছে, এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী ও তার স্ত্রী মেয়ে অরিত্রীকে নিয়ে স্কুলে গেলে উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষ তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে অরিত্রীর বাবা দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।