বরিশাল নগরীর প্রধান বাণিজ্যিক ও ব্যস্ততম বন্দর এলাকার আধা কিলোমিটার সড়ক দিয়ে পণ্যসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি চরমে উঠেছে। অবস্থা এতটাই খারাপ যে পায়ে হেঁটেও চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বেহাল এ সড়কের দুই পাশে পাইকারি মৎস্য বাজার, কয়েক শতাধিক ফলের আড়ত, কৃষি মেশিনারিজ বিক্রির মার্কেট, চালের আড়ত, পিঁয়াজ, রসুন, মরিচসহ মসলার আড়ত, এমইপি ফ্যাক্টরি, কসাইখানার ভাঙারি ব্যবসা, ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা, ভূমি অফিস, সেটেলমেন্ট অফিস রয়েছে। এ সড়কটি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) অধীনে।
সেটেলমেন্ট অফিসের কর্মচারী জাহিদ হোসেন বলেন, শুকনা মৌসুমে চলাচল করা যায়। কিন্তু বর্ষা এলে হেঁটেও অফিসে আসা-যাওয়া করা যায় না। কর্মকর্তারা গাড়িতে আসেন। সমস্যায় পড়ি আমরা। ২০ বছর ধরে ভোগান্তির মধ্যে রয়েছি।
রাজশাহী থেকে আলু নিয়ে আসা ট্রাকচালক আবদুল লতিফ বলেন, এরকম ভয়াবহ সড়ক জানলে আসতাম না। খালি ট্রাক নিয়েই আসতে কষ্ট হয়। রাস্তা ঠিক না হলে আর আসব না।
অটোরিকশা চালক মো. রাজ্জাক বলেন, বাধ্য হয়ে চলাচল করি। গত তিন দিনে ১৯টি অটোরিকশা উল্টে পড়েছে।
বরিশাল পোর্টরোড ফল এবং আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান জাকির বলেন, সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী। কিন্তু মেরামতের কোনো উদ্যোগই নেওয়া হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে সড়কে গাছ রোপণ করে বিআইডব্লিউটিএর সামনে মানববন্ধন করেছি। তিন দপ্তরে স্মারকলিপি দিয়েছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সড়কটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম রেজা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি মেরামতের জন্য প্রকৌশল বিভাগকে চিঠি দিয়েছি। আমি অসুস্থ, তাই তারা কতটুকু কাজ করেছে বলতে পারছি না।