বগুড়ার বাজারে কমছে না সবজির দাম। আলু আর পেঁপে ছাড়া কোনো সবজির দাম ৩০ টাকার নিচে নেই। প্রায় সব সবজির দাম ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকায়। বেগুন দাম বেড়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে লাফিয়ে বাড়ছে ডিম ও পিঁয়াজের দাম। প্রতি হালি ডিমের দাম ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪৮-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রতি কেজি পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। সবজির চড়া দাম হওয়ায় বাজারে গিয়ে ক্রেতারা হতাশা প্রকাশ করছেন।
জানা গেছে, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বগুড়ার বাজারে কমেছে সবজির সরবরাহ। এতে কেজিপ্রতি সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। সঙ্গে দীর্ঘদিন নিম্নমুখী থাকা ফার্মের মুরগির ডিমের দামও কিছুটা বাড়তি। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম না বাড়লেও সোনালি জাতের মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্ষায় কাঁচা বাজারে কমেছে সবজির জোগান। যার প্রভাব পড়েছে দামে। ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজির নিচে নেই কোনো সবজি।
গতকাল বগুড়ার রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার, কলোনি, খান্দার ও বকশীবাজারসহ বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা যায়, শুধু আলু আর পেঁপে ছাড়া সব ধরনে সবজির দাম বাড়তি।
বাড়তি দামেই সব ধরনের মাছ বিক্রি হতে দেখা যায়। দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের রুই প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, তিন কেজি ওজনের কাতলা মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, আড়াই কেজি ওজনের সিলভার কার্প মাছ ২২০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। এ ছাড়া চিংড়ির কেজি ৮০০, টেংরা মাছ ৪০০ থেকে ৬০০, পাবদা আকারভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। বাজারে ইলিশ মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও দাম বেশ চড়া। বগুড়ার কলোনি বাজারে সবজি কিনতে আসা আনোয়ার হোসেন পলাশ জানান, গত এক সপ্তাহে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। একই সঙ্গে ডিম ও পিঁয়াজের দামও চড়া।