যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, জুলাই গণ অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের জন্য একটি বিশেষ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ১২ হাজার ৮৭৭ জনের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহযোগিতা প্রদান করা হবে। গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আরও বলেন, আর্ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৯ লাখ যুবক ও যুবা ও নারীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করা হবে। একই সঙ্গে জাতীয় যুব নীতিমালা হালনাগাদ, যুব উদ্যোক্তা নীতিমালা-২০২৫ প্রণয়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই গণ অভ্যুত্থানের পর আমাদের সামনে এসেছে সাম্য, ন্যায়বিচার, নাগরিক মর্যাদা, গণতন্ত্র ও সমৃদ্ধির এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার ঐতিহাসিক সুযোগ। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে তরুণ প্রজন্ম হবে সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি। এ যুবসমাজ দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের নেতৃত্ব দিচ্ছে।’
যাঁরা পুরস্কার পেলেন : যুব উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে অসাধারণ অবদানে পুরস্কার পান তিনজন। বগুড়ার সুরাইয়া ফারহানা রেশমা, মাগুরার মো. আক্কাচ খান এবং নোয়াখালীর মো. জাকির হোসেন। শিক্ষা, বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, কারিগরি ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য পুরস্কার পান ঝালকাঠির মো. খালেদ সাইফুল্লাহ ও গাইবান্ধার মো. শাহাদৎ হোসেন। দেশপ্রেম, বীরত্ব ও সাহসিকতার ক্ষেত্রে এবার পুরস্কার পেয়েছেন পাবনার মো. দ্বীপ মাহবুব এবং রাজশাহীর হাসান শেখ। এ ছাড়া লালমনিরহাটের মো. জামাল হোসেন, কক্সবাজারের নুরুল আবছার এবং রাজশাহীর মো. মুহিন (মোহনা) জ্যেষ্ঠদের প্রতি আদর্শ সেবা/সমাজকল্যাণে অসাধারণ অবদানের জন্য পুরস্কৃত হন। ক্রীড়া, কলা ও সংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য অবদানে পুরস্কার পেয়েছেন সাতক্ষীরার আফঈদা খন্দকার এবং বান্দরবানের উছাই মং মার্মা (ধুংরী হেডমন)।