আগের দিনের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪০ পয়েন্ট কমেছে। একই সঙ্গে লেনদেন কমে ফের ৪০০ কোটির নিচে নেমেছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। ফলে এ বাজারটিতেও মূল্যসূচকের পতন হয়েছে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে দাম বেড়েছে ৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। বিপরীতে দাম কমেছে ২৬০টির। আর ৫৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৯৪ কোটি ১৮ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৬১ কোটি ৫৫ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৬৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এ লেনদেনের শীর্ষে ছিল ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। ৪৮৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে ৪৮৯ টাকা ৫০ পয়সায় কোম্পানিটির ২৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ২০ লাখ টাকার। ১৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং। অন্যদিকে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৬৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৪টির এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।