বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী জড়িত নয়। যদি কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে এসব অপকর্ম করে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হয় না, হবে না। পাশাপাশি গণমাধ্যমকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, একটি অসত্য সংবাদে রাষ্ট্র ও সমাজে অনেক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। কোনো কিছু ঘটলেই বিএনপির ওপর দায় চাপানো কারও কারও অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সমাজবিরোধী কাজে যে-ই জড়িত হবে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
রিজভী আরও বলেন, চট্টগ্রামের রাউজানে কিছু সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। অথচ কয়েকটি গণমাধ্যমে বলা হলো এই অস্ত্রধারীরা বিএনপির লোক! কোনো প্রমাণ ছাড়া এগুলো লেখা দুঃখজনক। এই রাউজানে নানান অভিযোগে অনেক সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি ১৫ বছরের অত্যাচার-অবিচার থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছে। জুলাই-আগস্টে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। মানুষ হয়তো কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে। এখনো আতঙ্কমুক্ত নয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট যারা সৃষ্টি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বিশ্ববাজারে যখন গমের দাম কমেছে তখন বাংলাদেশে দাম বেড়েছে। জনগণকে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব সরকারের। রাষ্ট্র এতে ব্যর্থ হলে যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সৃষ্টি হতে পারে সামাজিক অস্থিরতা।