বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ফরিদপুরেও চলছে স্বাস্থ্য বিভাগের তোড়জোড়। ইতিমধ্যে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ (ফমেক) হাসপাতালে একটি ২০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। সোমবার সকালে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সসহ কর্মকর্তাদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করে প্রয়োজনীয় চাহিদাপত্র তৈরি করে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পরায় তারা বিষয়টিকে খুবই গুরত্বের সাথে দেখছেন।
সরেজমিনে সোমবার ফমেক হাসপতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের পুরাতন ভবনের ফিজিওথেরাপী সেন্টারের দোতলায় একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। সেখানে চারটি শয্যা (বেড) রাখা হয়েছে। সেখানে রোগীদের সেবাকার্যে নিয়োজিতদের জন্য একসেট অ্যাপ্রোণ, মাস্ক ও গ্লোভস রয়েছে। ওই হাসপাতালের নার্স জুলেখা জানান, গত এক মাস আগে এই ওয়ার্ডটি স্থাপন করা হয়। এখানে ২০টি শয্যার ব্যবস্থা করা হবে।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুর রহমান জানান, রবিবার বিকেলে ঢাকাস্থ স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালকের সাথে তাদের একটি ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে এ ব্যাপারে। সেখানে তাদেরকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, এ প্রেক্ষিতে তারা সোমবার সকালে হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও নার্সদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। তারা প্রয়োজনীয় মালামালের একটি চাহিদা পত্রও তৈরি করেছেন। এসব মালামালের মধ্যে রয়েছে পোষাক, মাস্ক ও গ্লোভসসহ আনুষঙ্গিক জিনিষপত্র। সোমবারই এই চাহিদাপত্র ইমেইলে ঢাকায় প্রেরণ করা হবে। এসব মালামাল আপদকালীন মজুদ রাখার জন্য নির্দেশণা দিয়েছি।
তবে হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবলের খুবই অভাব রয়েছে উল্লেখ করে ডা. সাইফুর রহমান জানান, প্রথম শ্রেণির ১৬৩টি পদের বিপরীতে তাদের এখানে রয়েছেন মাত্র ৫৭ জন। এছাড়া অ্যানেসথিয়া বিভাগের নিম্নস্তরে কোন জনবল নেই। উচ্চপদে মাত্র তিনজন সহকারী অধ্যাপক রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার