বাংলাদেশে করোনা রোগী পাওয়া যাওয়ার খবরে শেরপুরে সর্বত্র মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে শেরপুর স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা রোগীর চিকিৎসার ও আলাদা রাখার জন্য জেলায় বিভিন্ন হাসপাতালে ১৫০টি শয্যা প্রস্ততিসহ নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে বেড়ে গেছে মুখের মাস্কের দাম।
জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, করোনা আক্রান্তদের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যা, ঝিনাইগাতি উপজেলা হাসপাতালে ২০ শয্যা, শ্রীবরর্দী হাসপাতালে ২০ শয্যা, নালিতাবাড়ীর রাজনগর মা ও শিশু হাসপাতালে ৫০ ও নকলার উরফা হাসপাতালে ৫০, এই মোট ১৫০ শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সূত্র জানায়, শেরপুরে নাকুগাও স্থল বন্দরে বিদেশ ফেরৎ যাত্রীদের পরীক্ষার জন্য দুইটি মেডিক্যাল টিম করা হয়েছে। করোনা সন্দেহ হলে নালিতাবাড়ী ও নকলার দুটি প্রতিষ্ঠানে কোয়ারেন্টাম (সাধারণ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা) কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন অফিসে খোলা হয়েছে কন্টোল রুম। যা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। দুটি উচ্চ পর্যায়ের মেডিক্যাল টিম করা হয়েছে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য। করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকদের জন্যও বিশেষ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। আজ স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে গণসচেতনতার জন্য লিফলেট বিলি করা হয়েছে।
জেলার সিভিল সার্জন আবুল কাসেম মোহাম্মদ আনওয়ারুর রউফ জানিয়েছে, করোনা প্রতিরোধে শেরপুর স্বাস্থ্য বিভাগ সর্বাত্মক গুরুত্ব দিচ্ছে এবং আমরা প্রস্তত। প্রয়োজনে আরও শয্যার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি মানুষজনকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। যারা মার্কসের দাম বেশী রাখছে তাদের বিরুদ্ধে সত্তর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সিভিল সার্জন জানিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম