রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে বেশ কয় জন রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের সাধারণ ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের দেহে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সম্ভাবনা রয়েছে কিনা এ ধরণের পরীক্ষা করা হয়নি। অপরদিকে করেনা আতঙ্কে সরকারি অফিস ও আদালতে উপস্থিতির হার আশঙ্কাজনক ভাবে কমে গেছে । আদালত পাড়ায় আইনজীবী ও তাদের সহকারিরা হাত গুটিয়ে বসে আছেন।
রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, জ্বর,সর্দি,কাশিজনিত রোগে আক্রান্ত কয়েকজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের সাধারণ ওয়ার্ডেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তপক্ষ বলছে এসব সাধারণ জ্বর, সর্দি’র রোগী। এদের আলাদা ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হলে অহেতুক আতঙ্ক সৃষ্টি হতে পারে তাই এদেরকে সাধারণ ওয়ার্ডেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে এদের কারো দেহে করোনা ভাইরাস থাকলে পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতিও ঘটতে পারে বলে এমনটা আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই জ্বর সর্দি কাশির রোগীদের বিশেষ গুরুত্বসহকারে দেখা উচিত বলে অনেকে মনে করছেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরন্ব কুমার রায় বলেন, যে সব রোগী হাসপাতালে রয়েছে এরা সাধারণ জ্বর,সর্দির রোগী। করোনা ভাইরাস থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তারপরেও আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। তবে এ ধরনের কতজন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে এই পরিসংখ্যান তার কাছে নেই বলে তিনি জানান।
এদিকে রবিবার দুপুরে নগরীর জেলা প্রশাসক কার্যালয়, গণপূর্ত অফিস, সড়ক ভবন, এলজিইডি অফিস, আদালত চত্বরে গিয়ে দেখা গেছে, অফিস আদালতে উপস্থিতির হার খুব কম। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ অফিসে আসছে না। নগরীর কাচারি বাজার এলাকায় আদালত পাড়া। এখানেও গিয়ে দেখা গেছে অন্যান্য দিনের চেয়ে বিচার প্রার্থীদের উপস্থিতির হার কম। আইনজীবী ও তাদের সহকারিরা মক্কেলের আশায় বসে রয়েছেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, করোনা আতঙ্কে আদালতে বিচারপ্রার্থীর সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। বসে বসে শুধু সময় কাটাচ্ছি । বিচারপ্রার্থী আসছে না বলা চলে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার