চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বুধবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে।
জানা যায়, চট্টগ্রামের মোট ২৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ৮ জনই সাতকানিয়ার। তাই সাতকানিয়াকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিশেষ স্থান হিসেবে বিবেচনায় নিয়েছে প্রশাসন। করোনাভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ এড়াতে সাতকানিয়া লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বদিউল আলম বলেন, ‘করোনাভাইরাস দ্রুত সংক্রমিত হওয়ায় সাতকানিয়া উপজেলা লকডাউন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন লকডাউন বাস্তবায়ন করা হবে।’
জানা যায়, গত ৯ এপ্রিল সাতকানিয়ার পশ্চিম ঢেমসা ইউনিয়নের ইছামতি আলিনগর গ্রামে ৬৯ বয়সী এক বৃদ্ধ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসার পর করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনি মারা যান। ১২ এপ্রিল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) নমুনা পরীক্ষায় তিনিসহ সাতকানিয়ার আরও দুইজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়। আক্রান্ত দুই ব্যক্তির বয়স যথাক্রমে ৩২ ও ১৯। তাছাড়া গত ১৪ এপ্রিল বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষায় সাতকানিয়ার আরও ৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তারা সবাই পশ্চিম ঢেমসা ইউনিয়নের ইছামতি আলিনগর গ্রামের। আক্রান্তদের বয়স যথাক্রমে ৩১, ৩০, ২৭, ২৫ ও ২৭।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/রেজা মুজাম্মেল