করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া সোনিয়া (২৮) নামে এক রোগীর দ্বিতীয়বারের পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ হয়েছে বলে দাবি করেছেন রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। করোনা শনাক্তের কথা শুনে ওই নারী ঢাকার সোহরাওয়াদী হাসপাতাল থেকে পালিয়েছিলেন।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে পোস্ট দিয়ে এ তথ্য জানান রাজবাড়ী জেলা পুলিশের এই সর্বোচ্চ কর্মকর্তা।
ফেসবুক পোস্টে তিনি দাবি করেন, রাজবাড়ী জেলার কথিত পলায়নকারী কোভিড-১৯ পজিটিভ পুলিশ কনস্টেবল মালেক সর্দার এবং তার স্ত্রী সোনিয়াকে দ্বিতীয়বারের মতো কোভিড টেস্ট রেজাল্ট নেগেটিভ হওয়ায় আজ কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল থেকে রিজিল দেওয়া হয়েছে।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যের স্ত্রী সোনিয়াকে পুনরায় টেস্ট করানো হয় সেখান থেকে রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে এবং তার স্বামী মালেক সরদারের শরীরে করোনার ভাইরাস শনাক্ত হয়নি। তারা এখন বাড়ির পথে আছেন।
রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, সোনিয়ার শরীরে প্রথমে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছিল। যেকোনো পজেটিভ রোগীর ক্ষেত্রে একাধিকবার টেস্ট করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় সোনিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস নেগেটিভ হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৭ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দুপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে রাজবাড়ীর সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে পালিয়ে আসেন সোনিয়া ও তার স্বামী মালেক সর্দার। ৮ এপ্রিল (বুধবার) পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা তাকে উদ্ধার করে ঢাকায় রাজবাড়ী সদর হাসাপাতালের আইসোলেশন সেন্টার থেকে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম