দিনাজপুরের ৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) অস্থিত্ব পাওয়া গেছে। যদিও তাদের একজনের শরীরে উপসর্গ দেখা যায়নি। দিনাজপুরে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত প্রথম এই সাত রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
আক্রান্তের কারণে তিন উপজেলার ১৬৯টি বাড়িসহ দুটি গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে। আক্রান্তদের সবসময় খোঁজখবরসহ নজরদারিতে রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ জানান, দিনাজপুর জেলায় এ পর্যন্ত ১৪৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ল্যাবরেটরিতে প্রেরণ করা হয়েছে ১৩৩ জনের নমুনা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এদের মধ্যে রিপোর্টের ফলাফল পাওয়া যায় ৭১টি নমুনার। এর মধ্যে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পজিটিভ ৭ জনের। বাকীগুলো নেগেটিভ। পজিটিভ ৭ জন হলো দিনাজপুর সদরের ৩ জন, ফুলবাড়ী উপজেলার ১ জন এবং নবাবগঞ্জ উপজেলার ৩ জন রয়েছেন। করোনা শনাক্তের পর দিনাজপুর সদরের আক্রান্ত ৩ জনের বাড়িসহ আশেপাশের ৫৫টি বাড়ি, নবাবগঞ্জে আক্রান্ত তিনজনসহ আশেপাশের ১১৪টি বাড়িসহ ফুলবাড়িতে আক্রান্তের দুটি গ্রামকে লকডাউন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দিনাজপুর সদর উপজেলার তিনজনের মধ্যে নয়নপুর গ্রামে একজন গাজীপুর ফেরত ও সুইহারী সরকারি কলেজ মোড়ে দুইজন স্থানীয়। নবাবগঞ্জে তিনজনের মধ্যে দুইজন ঢাকা ফেরত ও একজন স্থানীয়। আক্রান্তদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ ও একজন নারী। তারা সবাই হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। আক্রান্তদের বয়স ১১-২০ বছর ১ জন, ২১-৩০ বছর ৫ জন এবং ৪১-৫০ বছর ১ জন। এছাড়াও বর্তমানে জেলায় বুধবার সকাল পর্যন্ত ৭৯৪ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।
এদিকে, নবাবগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. শাহাজাহান আলী বলেন, তিনজনের করোনাভাইরাস পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে তিনটি গ্রামে শনাক্ত হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীর ১১৪টি বাড়িকেই লকডাউন করা হয়েছে। এসময় কেউ ওখানে প্রবেশ বা বের হতে পারবে না। লকডাউন অবস্থায় তাদেরকে নজরদারীর পাশাপাশি খাবারের ব্যবস্থাও করেছে উপজেলা প্রশাসন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম