চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মাত্র ২৩ দিনের মধ্যে চালু হয়েছে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য দেশের প্রথম একটি অস্থায়ী ৬০ শয্যার ফিল্ড হাসপাতাল। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে উপজেলার ফৌজদারহাট এলাকায় এ হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
এই হাসপাতালে ৬০টি বেডের পাশাপাশি করোনা চিকিৎসার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ৫টি ভেন্টিলেটর সুবিধাও আছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সারা পৃথিবীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে বৈশ্বিক মহামারি স্বীকৃতি পাওয়া করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ায় দেশে এর চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে চট্টগ্রামের চিকিৎসক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া একটি ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নিলে বিশিষ্ট শিল্প গ্রুপ নাভানা এ কাজে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসে। তারা সীতাকুণ্ডের সলিমপুর পাক্কা রাস্তার মাথা এলাকায় অবস্থিত তাদের নিজস্ব সাড়ে ৭ হাজার স্কয়ার আয়তনের কারখানার জায়গায় এই হাসপাতাল স্থাপনের জন্য প্রদান করলে গত ১৫ দিন কাজ শেষে এখানে হাসপাতালের অবকাঠামো, ৬০টি বেড ও ৫টি ভেন্টিলেটর স্থাপন সম্পন্ন করা হয়। ফলে দেশের প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল হিসেবে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে উদ্যোগ গ্রহণের মাত্র ২৩ দিনের মাথায় মঙ্গলবার সকালে রোগী দেখার মধ্য দিয়ে এই হাসপাতাল জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
হাসপাতালের উদ্যোক্তা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া জানান, দেশে অনেক হাসপাতাল থাকলেও করোনা চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত হাসপাতাল কম। কিন্তু করোনা যেভাবে দ্রুত ছড়াচ্ছে তাতে একটি ফিল্ড হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তিনি এটি স্থাপন করতে চাইলে নাভানা গ্রুপ তাকে পর্যাপ্ত জায়গা দিয়ে এটি করতে সহযোগিতা করেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এই হাসপাতাল নির্মাণে সহযোগিতা করেছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম