করোনাভাইরাস ঘটিত মহামারীর মধ্যেও দেখা গেছে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে হামলা হচ্ছে ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীদের উপর। তাদের মারধর করতেও বাকি রাখা হচ্ছে না। গাড়ি, ক্লিনিকে ভাঙচুর করছে। এমন পরিস্থিতিতে সওয়া শতাব্দী প্রাচীণ মহামারী রোগ আইনে সংশোধন এনে কঠোর শাস্তির বিধান করার জন্য বুধবার অর্ডিন্যান্স তথা অধ্যাদেশে অনুমোদন দিয়ে দিল নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভা। এতে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা (ভারতীয় রুপি) ও ৭ বছরের জেল হতে পারে দোষীর।
এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর জানান, মহামারী রোগ অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোনও ডাক্তার বা স্বাস্থ্য কর্মীর উপর কেউ হামলা করলে তাকে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হবে। এক মাসের মধ্যে ওই হামলার ঘটনা নিয়ে তদন্ত শেষ করতে হবে পুলিশকে। তার পর ১ বছরের মধ্যে আদালতকে সাজা ঘোষণা করতে হবে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আরও জানান, ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীর উপর হামলার ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হলে অপরাধীর তিন মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। হামলার ঘটনায় ডাক্তার বা স্বাস্থ্য কর্মী যদি গুরুতর জখম হন তাহলে অপরাধীর সাত বছর পর্যন্ত হাজতবাস ও ১ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
এখানেই শেষ নয়। জাভরেকর জানিয়েছেন, হামলার ঘটনায় চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য কর্মীর গাড়ি বা ক্লিনিকে ভাঙচুর করা হলে বাজার মূল্যের দ্বিগুণ অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসাবে দিতে বাধ্য থাকবে অভিযুক্তকে। উল্লেখ্য, ভারতে মহামারী রোগ আইন পাশ হয়েছিল ব্রিটিশ আমলেই। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, এই আইন সময়োপযোগী করার দরকার ছিল। তাই সরকার এই অধ্যাদেশ জারি করেছে। সূত্র : দ্য ওয়াল।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক