নোয়াখালীর চৌমুহনীতে করোনায় মৃত সহকর্মীর সংস্পর্শ থেকে আসা কুমিল্লার লাকসামের সেই দুই সহোদরের করোনা শনাক্ত হয়েছে। দুই সহোদরের বাড়ি পৌরশহরের দক্ষিণ লাকসাম। এ নিয়ে লাকসামে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ জনে দাঁড়ালো। শনিবার সকাল ১১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ওই পরিবারের অন্য সদস্যদেরও নমুনা সংগ্রহের প্রস্তুতি চলছে।
সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার দক্ষিণ লাকসাম সাহাপাড়া এলাকার দুই সহোদর চৌমুহনীতে একই ফার্মে চাকুরি করতেন। ওই ফার্মে চাকুরিরত এক সহকর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর দুই সহোদরের মধ্যে একজন নমুনা সংগ্রহের ৮দিন আগে লাকসামে চলে আসেন। এরই মধ্যে করোনা আক্রান্ত সহকর্মী মারা গেলে গত বুধবার রাতে অন্য ভাইও বাড়িতে চলে আসেন। দুই ভাই করোনায় মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকার খবর পেয়ে ওইদিন রাতে স্থানীয় প্রশাসন তাদের বাড়িসহ আশে-পাশের তিনটি বাড়ি লকডাউন করে দেন। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে সেই দুই সহোদরের নমুনা সংগ্রহ করে আইডিসিআর-এ পাঠানো হয়। আজ শনিবার সকালে আইইডিসিআর থেকে প্রেরিত রিপোর্টে তাদের করোনা ফলাফল পজেটিভ আসে। নতুন দুইজন শনাক্ত হওয়ায় লাকসামে করোনায় সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ জনে দাঁড়াল। এতে স্থানীয়দের মনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ‘করোনা র্যাপিড রেসপন্স টিম’ এর সদস্য ডা. আবদুল মতিন জানান, আইইডিসিআর থেকে প্রেরিত রিপোর্টে দুই সহোদরের করোনা পজেটিভ এসেছে। তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের নমুনা সংগ্রহের প্রস্তুতি চলছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবদুল আলী ওই দুই সহোদরের রিপোর্ট পজেটিভ আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসা-বাড়িতে অবস্থানের পরামর্শ দেন।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ