৮ আগস্ট, ২০২০ ১৭:৪০

সমন্বিত প্রচেষ্টাতেই রংপুর বিভাগে করোনা সংক্রমণের হার সবচেয়ে কম

নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর

সমন্বিত প্রচেষ্টাতেই রংপুর বিভাগে করোনা সংক্রমণের হার সবচেয়ে কম

সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশের মধ্যে রংপুর বিভাগে করোনা সংক্রমণের হার সবচেয়ে কম হয়েছে। তবে জনগণকে পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সকলকে মাস্ক পরাতে পারলে এ হার আরো কমতো বলে মনে করছে স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিভাগীয় প্রশাসন। 

জানা গেছে, বাংলাদেশ বিষয়ক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিচুয়েশন রিপোর্ট-২৩ অনুযায়ী দেশে করোনা ‘অ্যাটাক রেট’ সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম রংপুর বিভাগে। সর্বোচ্চ অ্যাটাক রেট ঢাকা বিভাগে ১০ লাখে তিন হাজার ৬৩৭ জন এবং রংপুর প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে ৩৪৭ দশমিক তিন জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রংপুর বিভাগের জনসংখ্যা প্রায় পৌনে দুই কোটি। এ বিপুল পরিমাণ জনগণকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাতে, স্বাস্থ্য বিভাগ, সেনাবাহিনী, পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তারা শহর ও গ্রামাঞ্চলে জনগণকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে ব্যাপক প্রচারণা চালান। তারপরও সম্প্রতি ঈদ বাজার ও কোরবানির হাটে ব্যাপক লোক সমাগম হয়। এই জন সমাগমের মধ্যে অনেকেই স্বাস্থ্য বিধি অনুযায়ী মাস্ক পরেননি। ফলে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রংপুরে করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা বাড়তে পারে বলে এমনটাই শঙ্কা প্রকাশ করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, রংপুর বিভাগে করোনা সংক্রমণের হার কম হলেও স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন খুশি হতে পারেননি। তাদের মতে জনগণ যদি ঠিকমত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতো তা হলে এই বিভাগে সংক্রমণের হার অনেক কমতো।

রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, এই বিভাগে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১২৩ জন মারা গেছে। আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ১৯৭ জন। সুস্থ হয়েছে ৫ হাজার ১০৯ জন এবং করোনা ডেলিকেডেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ২৮৩ জন। 

রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কেএম তরিকুল ইসলাম বলেন, করোনা আক্রান্তের হার রংপুর বিভাগে কম হলেও এখনো অনেকেই স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না। সকলে স্বাস্থ্য বিধি মানলে এ হার আরো কমতো। তিনি জনগণকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহবান জানান। 

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আমিন উদ্দিন খান বলেন, সকলে সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছি। শতভাগ জনগণকে মাস্ক পরাতে পাড়লে আক্রান্তের হার কমতো। 

মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মুহা. আবদুল আলীম মাহামুদ বলেন, করোনা মোকাবেলায় পুলিশ, সেনাবাহিনী, স্বাস্থ্য বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন সকলেই এক হয়ে কাজ করছে। তবে মানুষকে আরো সচেতন হতে হবে। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

সর্বশেষ খবর