ভারতে গত কয়েক দিনের সূচক ছিল নিম্নগামী। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ফের ৪৬ হাজার ২৫৩ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় দৈনিক আক্রান্তের হার ২০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮৩ লাখ ৬৩ হাজার। আর একদিনে করোনায় মারা গেছেন ৫১৪ জন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীত শুরু না হতেই সমগ্র উত্তর ভারতজুড়ে যেভাবে শস্যের গাছ পোড়ানো শুরু হয়, তা গোটা দেশের অতিমারি পরিস্থিতিকে আরও প্রাণঘাতী করে তুলবে। বিশেষ করে ভুগতে হবে দিল্লিকে।
বায়ু সূচকের (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) তথ্য অনুযায়ী, গত দুই সপ্তাহ যাবৎ দিল্লির কোনো কোনো অঞ্চলে বাতাসের মান ছিল বিপজ্জনক সীমার নিচে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, দূষিত বাতাস ফুসফুস বা শরীরের অন্যান্য অংশে যে ক্ষতি করে, তাতে দেহের ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে শীতের মৌসুমে কোভিড ও দূষণের জোড়া আঘাতে বিদ্ধ হয়ে ধরাশায়ী হবেন বহু মানুষ।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, বায়ুর মান মূল্যায়ণের জন্য একটি প্যানেল তৈরি করতে সম্প্রতি আইন এনেছে সরকার। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ডের কর্মকর্তাদের ৫০টি দলে ভাগ করা হয়েছে এই বিষয়ে নজরদারির জন্য। এই অবস্থায় দিল্লিকে ইতিমধ্যেই সংক্রমণের ‘তৃতীয় ঢেউ’ ধাক্কা মেরেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজারের কাছাকাছি। মোট আক্রান্তের সংখ্যা যার ফলে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। দ্রুত ভরছে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের শয্যা।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, দিল্লিতে অতিমারির তৃতীয় ঢেউ এসেছে। সেপ্টেম্বরের শেষে ও অক্টোবরের শুরুতে আক্রান্ত দৈনিক ৩ হাজারের নিচে থাকছিল। তা বেড়েছে।
সূত্র : আনন্দবাজার
বিডি প্রতিদিন/এমআই