শিরোনাম
২ জুলাই, ২০২২ ১৩:৪৫

সত্যি কি উত্তর কোরিয়ায় বেলুনে করে করোনা পাঠিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া?

অনলাইন ডেস্ক

সত্যি কি উত্তর কোরিয়ায় বেলুনে করে করোনা পাঠিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া?

গত মে মাসে উত্তর কোরিয়ার নেতা কি জং উন পিয়ংইয়ংয়ের একটি ফার্মেসি পরিদর্শন করেন। ছবি: বিবিসি থেকে সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে যখন পূর্ণ শক্তিতে দাপট দেখাচ্ছিল প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস, তখন পূর্ব এশিয়ার দেশ উত্তর কোরিয়া ছিল এই ভাইরাস থেকে মুক্ত। দীর্ঘ দুই বছর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তেমন কোনও খবর সেখান থেকে পাওয়া যায়নি। তবে বর্তমানে এই ভাইরাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশটি। ক্রমেই দেশব্যাপী করোনা ছড়াতে শুরু করেছে চীনের প্রতিবেশি দেশটিতে। যদিও পরীক্ষার সুযোগ কম থাকায় আসল অবস্থা বুঝা যাচ্ছে না। তবে এরইমধ্যে দেশটির তোরজোড় এবং অজানা জ্বরের ছড়াছড়িতে এটি স্পষ্ট, সমগ্র দেশটিতেই মহামারী ছড়িয়ে পড়েছে। 

কিন্তু বিশ্ব থেকে একরকম বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়ায় কোভিড ঢুকলো কীভাবে? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে মরছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। অবশেষে তারা একটি ‘থিওরি’ দাড় করিয়েছে এ নিয়ে। দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যম ‘কেসিএনএ’র প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মূলত দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে তাদের সীমান্তের কাছে এসে পড়া ‘অজানা বস্তু’ থেকেই কোভিড ছড়িয়েছে। একইসঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সীমান্ত দিয়ে উড়ে আসা বস্তু সম্পর্কে নাগরিকদের সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। 

বিবিসির খবরে জানানো হয়, বহু বছর ধরেই দক্ষিণ কোরিয়ার অধিকার কর্মীরা বেলুনে করে সীমান্তের অপর পারে বই, প্রচারপত্র এবং মানবিক সাহায্য পাঠিয়ে আসছে। উত্তর কোরিয়ার দাবি একইরকম উপায়ে উত্তর কোরিয়ায় কোভিডও পাঠানো হয়েছে। 

তবে এই দাবির প্রতিক্রিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, এইভাবে কোভিড ভাইরাসের সীমান্ত পার হয়ে সেখানে যাওয়া ‘একেবারেই অসম্ভব’।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, সরকারি তদন্তে বের হয়ে এসেছে যে, এই ভাইরাস যখন ছড়াতে শুরু করে তখন প্রথম দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সীমান্ত এলাকায় অজ্ঞাত কিছু বস্তুর সংস্পর্শে আসার পর দুই ব্যক্তি কোভিড আক্রান্ত হন। এপ্রিল মাসের গোড়ায় ইফো-রি পাহাড়ে এসে পড়া অজ্ঞাত কিছু বস্তু খুঁজে পাবার পর ১৮ বছর বয়সী একজন সৈনিক এবং তার পাঁচ বছরের সন্তান কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ ভাইরাস উত্তর কোরিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
এই তদন্তের ফলে উত্তর কোরিয়ার জনগণকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন দুই কোরিয়ার মধ্যে চিহ্ণিত সীমানায় এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় বেলুনে পাঠানো, কিংবা বাতাস ভেসে আসা বা আবহাওয়া মণ্ডলের কোনও প্রক্রিয়া ব্যবহার করে পাঠানো অজানা বস্তু সম্পর্কে সজাগ থাকে এবং সেগুলো ধরাছোঁয়ার ব্যাপারে সতর্ক হয়। 

দেশটির জনগণকে আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেউ রহস্যজনক কিছু দেখলেই যেন অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে জানায়, যাতে জরুরিকালীন মহামারী দমন বাহিনীর সদস্যরা সেগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলতে পারে। সূত্র: বিবিসি, নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, ভয়েস অব আমেরিকা

বিডি প্রতিদিন/কালাম

সর্বশেষ খবর