৫ মে, ২০২১ ১৫:২০

ধ্বংসের মুখে বিনোদন ও পর্যটন খাত, প্রয়োজন সরকারের সুদৃষ্টি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ধ্বংসের মুখে বিনোদন ও পর্যটন খাত, প্রয়োজন সরকারের সুদৃষ্টি

করোনা সংক্রমনের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকারের যথাযথ উদ্যোগ ভূয়সী প্রশংসার দাবি রাখে। করোনার শুরু থেকেই অন্যান্য শিল্প ও ব্যবসায়ীক খাত বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন খাতে দেওয়া হয়েছে সরকারি প্রণোদনা। 

বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব এমিউজম্যান্ট পার্ক স এন্ড এট্রাকশনস (বাপা) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, করোনার তীব্র সংক্রমণে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে অবহেলিত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিনোদন ও পর্যটন খাত।

বাপা জানিয়েছে, গত বছরের শেষ দিকে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমলে ব্যবসায়ীক ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে অনেক বিনোদন ও পর্যটন শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ করে পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র, স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনার ২য় ধাপে আবারো বিনোদন পার্ক ও পর্যটন কেন্দ্র গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিনোদন পার্ক ও পর্যটন কেন্দ্র গুলোর ব্যবসায়ীক মৌসুম হল ঈদ। এই সময়ে প্রচুর পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত থাকে পার্ক ও বিনোদনকেন্দ্রসমূহ। 

অন্যান্য শিল্প-প্রতিষ্ঠান, মার্কেট, গণপরিবহন সরকারি সিদ্ধান্তে খোলা থাকলেও এই খাতটির সকল ব্যবসা বাণিজ্য মুখ থুবড়ে পড়ে আছে করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে। অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় এখন যদি বিনোদন পার্কগুলো খুলে না দেওয়া হয়, তাহলে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।  

সম্প্রতি নিউইয়র্কের বিখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেট-এ প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে ঘরের চেয়ে বাইরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কম হয়। এ বিবেচনায় বিনোদন পার্কগুলো যেহেতু খোলা জায়গায় অবস্থিত সেহেতু এখান থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। ৬ ফিটেরও অধিক দূরত্ব হতে দর্শনার্থীদের সেবা প্রদান করা সম্ভব যা অন্যান্য সেক্টর গুলোতে বজায় রাখা সম্ভব নয়।  

বিনোদন ও পর্যটন খাতে প্রচুর বিনিয়োগ এবং ব্যাংক লোন রয়েছে। লকডাউন কালীন এ সেক্টর দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় যে ধ্বস নেমেছে তাতে শুধু প্রতিষ্ঠানের মালিকদের বড় একটি অংশের ঋণখেলাপী হওয়ার আশংকা রয়েছে। এ সেক্টর বন্ধ থাকলে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি সময় মতো পরিশোধ করা সম্ভব হবে না এবং অনেক কর্মকর্তা কর্মচারী চাকরিচ্যুত হবে। সেই সাথে এর সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত লক্ষ লক্ষ পরিবারের জীবন জীবিকা নির্বাহ করা দিন দিন দুরূহ হয়ে পড়বে।  
উ্ল্লেখ্য, গত বছর লকডাউনের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ সেক্টর সমূহের জন্য সরকার ঘোষিত প্রনোদনা দেওয়া হলেও পর্যটন শিল্প তথা বিনোদন পার্ক গুলোকে সরকার ঘোষিত প্রনোদনা প্যাকেজের আওতায় আনা হয় নি।

এমতাবস্থায়, উপরোক্ত বিষয়সমূহ সদয় বিবেচনাপূর্বক সরকার আসন্ন ঈদের আগে অন্যান্য সেক্টর / প্রতিষ্ঠানের ন্যায় বিনোদন পার্ক সমূহ খুলে দেওয়া হয় এবং সরকার কর্তৃক প্রনোদনা প্যাকেজ ঘোষিত হলে বিনোদন শিল্পকে প্রনোদনা প্যাকেজের আওতাভুক্ত করা হয সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/কর্তৃপক্ষকে সবিনয়ে অনুরোধ করছি। 

বিডি প্রতিদিন/ মজুমদার 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর