৮ জুন, ২০২১ ২০:৩৬

নেশা, মাদক ও তামাককের বিরুদ্ধে সোচ্চার খালেদ মাসুদ পাইলট

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

নেশা, মাদক ও তামাককের বিরুদ্ধে সোচ্চার খালেদ মাসুদ পাইলট

খালেদ মাসুদ পাইলট

খালেদ মাসুদ পাইলট। নামেই তার পরিচয়। সুদীর্ঘ একটা সময় দাপট দেখিয়েছেন ক্রিকেটের মাঠ। অধিনায়কত্ব করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের। বর্তমানে তার একটা ক্রিকেট কোচিং সেন্টার আছে। সেখানে তিনি তার লব্ধ জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে দিচ্ছেন এসময়ের তরুণদের মাঝে। নানান সামাজিক সংকট নিয়েও সোচ্চার দুর্দান্ত এই খেলোয়াড় সাম্প্রতিক সময়ে নেশা, মাদক এবং তামাক বিষয়ে কথা বলেছেন। 

কালজয়ী এ খেলোয়াড় জানান, তাদের কাজের ধরনটাই এমন যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক ভালো থাকতে হয়। বিশেষ করে শ্বাসপ্রশ্বাস পরিষ্কার রাখা তাদের জন্য ভীষণ জরুরি। কেননা তাদেরকে সবসময় শ্বাসপ্রশ্বাসের কৌশল কাজে লাগাতে হয়।  ধূমপান তাই এ পেশার মানুষের জন্য হতে পারে ভীষন ক্ষতির কারণ। 

তার ভাষায়, যেকোনো নেশা জাতীয় দ্রব্যই ক্ষতিকর।  অমুক নেশায় কম ক্ষতি, তমুকে কম এভাবে দেখা সম্ভব না।  অন্যান্য নেশাজাতীয় মাদকের মত তামাকও একটা নেশার বস্তু যা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। এর প্রভাবটা সরাসরি ফুসফুসের ওপরে পরে যা খেলোয়াড়দের জন্য একটা বিপত্তি হয়ে উঠতে পারে। 

এত ধরনের ক্ষতি জানা সত্ত্বেও অনেক খেলোয়াড়ই জড়িয়ে পরেন ধূমপানের মত ভয়াবহ একটা অভ্যাসের সাথে। খালেদ মাসুদ পাইলটের মতে, অনেকেই ধূমপান কৌতুহলবশত করেন আর এই কৌতুহল থেকেই শুরু হয় আসক্তি।  আবার অনেকে জিনিসটা নেশা হিসাবে শুরু করেন না, নেহাতই মানসিক চাপ মুক্তির জন্য করে থাকেন। কেননা এসব পণ্যের প্রচারণাটাই এমনভাবে করা হয়েছে যেনো সিগারেট খেলে মানসিক চাপ মুক্ত হওয়া যায়। অনেকেই সেই জায়গা থেকে মানসিক চাপ মুক্তির আশায় শুরু করে ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়েন।  

তিনি খানিকটা দুঃখ করেই বলেন, আমাদের সমাজে তরুণদের জন্য সৃজনশীল কাজের সুযোগ কমে গেছে।  কমে গেছে তাদের খেলাধুলা করার সুযোগ। বৃদ্ধি পেয়েছে হতাশা।  জীবনে রোমাঞ্চ আনতে প্রায়ই দেখা যায় তারা কৌতুহলবশত তারা সিগারেটে দুইটা টান দিচ্ছে বা কোন মাদক নিতে শুরু করছে।  কিন্তু তাদেরকে যদি অল্প বয়স থেকে সৃজনশীল কাজে যুক্ত করা যায় তাহলে সেই সম্ভাবনা কমে যায়। বড়রা যদি তরুণ সমাজনে একটা সুস্থ পরিবেশ আর একটা সুন্দর জীবন দিতে পারে তাহলে তারা ধুমপানের মত কোন বাজে অভ্যাসে জড়াবে না। 

খালেদ মাসুদ পাইলট বিশ্বাস করেন, প্রতিটা জীবনের জীবনের একটা অর্থ আছে আর প্রতিটা প্রাণির পৃথিবীর প্রতি তোমার একটা দায়িত্ব আছে।  সবাইকে সেই জায়গাটা খুঁজে বের করতে হবে এবং উপলব্ধি করতে হবে। প্রতিটি তরুণ প্রাণ সম্ভাবনায় ভরপুর। তাই তিনি তাদেরকে আহ্বান করেন ধূমপানের মত ক্ষতিকর অভ্যাসে না জড়িয়ে পৃথিবীটা ঘুরে দেখতে এবং সবার সাথে হাত মিলিয়ে পৃথিবীটাকে সুন্দর করতে অবদান রাখতে। 


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর