দিনাজপুরের খানসামায় গত দুই দিনে কালবৈশাখী ঝড়ে কয়েক গ্রামে ল-ভ- হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে বেশ কিছু কাঁচা ও আধাপাকা বাড়ি। ভেঙে ও উপড়ে পড়েছে গাছপালা। ক্ষতি হয়েছে মাঠের ফসলের। ঝড়ের প্রভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে একাধিক গ্রাম। ক্ষতি নিরূপণে কাজ করছে সরকারি বিভিন্ন বিভাগ। স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার রাতে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। যা থেমে থেমে সারা রাত চলে। রবিবার রাতেও ঝড় ও বৃষ্টি হয়। এতে খানসামা উপজেলার আংগারপাড়া ইউনিয়নের সুর্বণখুলী ওকড়াবাড়ি এলাকায় ৫০টি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় আরও শতাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুই দিনের ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বোরো ধান, ভুট্টা, রসুন, আম ও লিচুর। দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। মান্নু চন্দ্র রায় বলেন, রাতের ঝড়ে বাড়ির পাশের বটগাছ ভেঙে ঘরের ওপর পড়ে। একই গ্রামের নিরঞ্জন রায়, পলাশসহ কয়েকজন জানান, কালবৈশাখীর তান্ডবে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে নিরুপায় হয়ে পড়েছেন। নষ্ট হয়েছে আবাদি ফসল। আংগারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা আহমেদ শাহ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে তাদের তালিকা করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় বলেন, ফসলের ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে মাঠে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম বলেন, কৃষি খাত ও ঘরবাড়ির ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কৃষি বিভাগ ও ইউনিয়ন পরিষদ কাজ করছে। তালিকা হাতে পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।