বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

৩ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস

নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁ ১৪ ও ১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন কর্তৃক সীমান্ত থেকে গত তিন বছরে জব্দ হওয়া ৩ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে। গতকাল পত্নীতলা উপজেলার ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়ন চত্বরে এসব মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়। ধ্বংস হওয়া মাদকের মধ্যে ছিল ভারতীয় মদ, ফেনসিডিল, নেশা জাতীয় সিরাপ ও ইনজেকশন, গাঁজা, নিষিদ্ধ ট্যাবলেট, ইয়াবা, হেরোইন, পাতার বিড়িসহ অন্যান্য। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর সেক্টরের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ বি এম নওরোজ এহসান। অন্যান্যের মধ্যে রাজশাহী সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আনোয়ার লতিফ, নওগাঁ-১৪ বিজিবির ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল হামিদ উদ্দিন, ১৬ বিজিবির ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশেদুল হক, সিভিল সার্জন ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ রায়হানুজ্জামান প্রমুখ।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের কর্মকর্তারাসহ সামরিক ও অসামরিক প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা, স্কুল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জব্দকৃত আনুমানিক ২ কোটি ৯০ লাখ ৮ হাজার ১৬০ টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়। এসব মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ইয়াবা ৯০৯ পিস, ভারতীয় মদ ৬ হাজার ৫০১ বোতল, গাঁজা ১৭৮ দশমিক ৯৬ কেজি, ফেনসিডিল ২৪ হাজার ২০৫ বোতল, নিষিদ্ধ ট্যাবলেট ৫ হাজার ৭৪৬ পিস, নেশা জাতীয় সিরাপ ১০ হাজার ৮৬০ বোতল, নেশা জাতীয় ইনজেকশন ১১ হাজার ৮৪৮ পিস, হেরোইন ৭৭ পুরিয়া, গুঁড়া তামাক ১৬৫ দশমিক ৫ কেজি, পাতার বিড়ি ৪১ হাজার ১৭২ প্যাকেট এবং টেন্ডু বিড়ির পাতা ২১ কেজি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ বি এম নওরোজ এহসান জানান, মাদকদ্রব্য দেশের যুব সমাজকে ধ্বংস করার এক ধরনের অস্ত্র বিশেষ। মাদকের ভয়াবহ মরণ ছোবল থেকে দেশের যুব সমাজকে রক্ষা করা আমাদের সবার পবিত্র দায়িত্ব। তাই দেশের যুব সমাজকে মাদকের মরণ ছোবল হতে রক্ষা করার লক্ষ্যে মাদকবিরোধী অভিযান সফল করে তোলার জন্য আরও জোরালোভাবে সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। মাদকের ছোবলে আক্রান্ত হয়ে ধ্বংস হচ্ছে পরিবার, যুব সমাজ তথা দেশ। তাই মাদকের ভয়াবহতা হতে আমাদের মুক্তি পেতে হবে। আজকের এই মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য সেবনে নিরুৎসাহিত হয়ে একদিন বাংলাদেশ মাদক মুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে বলে দেশবাসী প্রত্যাশা করে। এ ছাড়াও মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানে বিজিবি কর্তৃক উদ্ধারকৃত ছয়টি কষ্টি পাথরের মূর্তি ও তিনটি সিমেন্টের মূর্তি পাহাড়পুর প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরের সংরক্ষণের জন্য হস্তান্তর করা হয়।

সর্বশেষ খবর