শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

কুষ্টিয়ায় গরমে কদর বেড়েছে হাতপাখার

আল-মামুন সাগর, কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ায় গরমে কদর বেড়েছে হাতপাখার

কুষ্টিয়া জেলাজুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকুল। দাবদাহের সঙ্গে জেলায় বেড়েছে লোডশেডিংয়ের মাত্রা। এ অবস্থায় কুষ্টিয়া জেলায় হাত পাখার কদর বেড়েছে। চাহিদা বাড়ায় পাখা তৈরির কারিগরদের দম ফেলার সময় নেই। দিনরাত সমান তালে পাখা তৈরিতে ব্যস্ত তারা। জেলা শহরের রাজারহাট মোড়ে রয়েছে কয়েকটি পাতপাখা বিক্রির পাইকারি দোকান। নারায়ণ রায় নামে এক দোকানি জানান, গরমের সঙ্গে সঙ্গে হাতপাখার কদর শুরু হয়। তবে তীব্র দাবদাহের কারণে দুই সপ্তাহ কুষ্টিয়ায় ব্যাপক হারে হাতে তৈরি তাল পাখার কদর বেড়েছে। গরমের শুরুতে প্রতিদিন তার দোকানে ৫০-৭০টি পাখা বিক্রি হতো। এখন একেকটি দোকানে দিনে ২০০-৩০০টি পাখা বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা বাড়ায় পাইকারিতে হাতপাখার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে বাঁশের হাতল দিয়ে তৈরি প্রতি ১০০ পিস পাখার দাম ছিল ৯০০-১০০০ টাকা। এখন একই পরিমাণ হাতপাখা ১৫০০-১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আরেক পাইকারি দোকানদার প্রকাশ জানান, এ বছর গরমের শুরুতে হাতপাখার চাহিদা এত ছিল না। হঠাৎ গরম বেশি পড়ায় এবং লোডশেডিংয়ের কারণে পাখার চাহিদা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। হাতপাখা কিনতে আসা ব্যবসায়ী জাকির আলী জানান, একে তীব্র গরম। সেই সঙ্গে ঘনঘন লোডশেডিং চলছে। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং বেশি থাকাই গ্রামগঞ্জে পাখার কদর তুঙ্গে। কুষ্টিয়া ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম চক্রবর্তী জানান, বর্তমানে জেলায় তাদের আওতাধীন এলাকার জন্য প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ৫৮ থেকে ৬০ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অপ্রতুল হওয়ায় বাই রোটেশনে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করে ঘাটতি মোকাবিলা করা হচ্ছে। কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুতের (কুমারখালী-খোকসা) এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিজিএম আনসার আলী জানান, বর্তমানে জেলায় পল্লী বিদ্যুতের চাহিদা সকালে ১০৮ মেগাওয়াট এবং সন্ধ্যায় ১৩৭ মেগাওয়াট। অথচ সন্ধ্যার সময় পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৯৬ মেগাওয়াট। ফলে প্রতিনিয়তই বিদ্যুতের ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর