পঞ্চগড়ে ভুট্টা খেতে পড়েছিল বিদ্যুতের লাইন। এতে হঠাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ায় স্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন তিনজন। গতকাল সদর উপজেলার ব্যাংহারি পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন ভ্যানচালক রব্বানী (৩৫), মো. শাহিন (৩৮) ও জামিদুল ইসলাম (২১)। ওসি কর্মকর্তা আবদুল্লা হিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহতদের পরিবারের অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধাক্কামারা ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম দুলাল জানান, বিদ্যুতের তার পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা বিদ্যুৎ অফিসকে জানায়। এরপর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ থাকায় এলাকার লোকজন ভুট্টা খেতে কাজ করতে যায়। এ সময় আকস্মিক লাইন চালু করা হয়। ওই ভুট্টা খেতে ১৪ জন কাজ করছিলেন। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে জামিদুল ইসলাম মারা যান। আহত হন আরও পাঁচজন। তাদের পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আরও দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত জয় ইসলামকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পঞ্চগড়ের ডিজিএম মো. মাজহারুল আলম জানান, পল্লী বিদ্যুতের লাইন দিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। লাইনটি ছিল নেসকোর।
নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী সত্যজিৎ দেব শর্মার মোবাইল ও ল্যান্ড ফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আবুল কাশেম জানান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় এদের মধ্যে দুজন মৃত অবস্থায় আসে একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।