উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যা বিপৎসীমার ১৪৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ার সঙ্গে জেলা সদর, কাজীপুর, চৌহালী, বেলকুচি ও শাহজাদপুর উপজেলার অরক্ষিত অঞ্চলে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে আবাদি জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। বন্যা আতঙ্কে রয়েছেন নদীতীরের বাসিন্দারা। গতকাল সদর উপজেলার ছোনগাছাবাসী ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ দাবিতে মানববন্ধন করেছে।
জানা যায়, সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের ভাটপিয়ারি ও কাজীপুর উপজেলার চরাঞ্চলের নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিশ, খাসরাজবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। বেলকুচি ও শাহজাদপুর উপজেলায়ও দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। ইতোমধ্যে ভাঙনে চরাঞ্চলের আখ, পাট ও বাদামসহ বহু ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে, জানায় পাউবো। পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। ‘নদীভাঙন ঠেকাও, ছোনগাছা ইউনিয়ন বাঁচাও’ স্লোগানে ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ দাবিতে সিরাজগঞ্জ সদরের ছোনগাছা ও খোকশাবাড়ী ইউনিয়নবাসী মানববন্ধন করেছে। উপজেলার ভাটপিয়ারী গ্রামে যমুনা নদীপাড়ে এ কর্মসূচিতে আট গ্রামের কয়েক শ মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধনে ছোনগাছা ইউনিয়নের সদস্য আমির হোসেন বলেন, ১৯৯৬ সালের আগে ভাঙনরোধে চারটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। যমুনা নদীতে তা বিলীন হয়েছে। ছোনগাছা ইউনিয়নে যমুনার ভাঙনরোধে ক্রসবার নির্মাণের উদ্যোগ না নিলে নদীতে কয়েকটি গ্রাম বিলীন হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, কাজীপুর উপজেলার চরগিরিশ ও সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী এলাকায় জিওব্যাগ ও জিওটিউব ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। তবে চরাঞ্চলের নদীতীরের ভাঙন ঠেকানো সম্ভব নয়। আর নদীতে পানি বাড়লেও এই মুহূর্তে বন্যার আশঙ্কা নেই।