সিদ্ধিরগঞ্জের বসতবাড়িতে গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনা পরিদর্শনে এসে গতকাল তোপের মুখে পড়েন আদমজী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. মীরন মিয়া ও ভূমি অফিসের পিয়ন রেজাউল করিম। ঘটনার দুই দিন পর পরিদর্শনে আসা এবং ঘটনা নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য এ অবস্থা হয়। এদিকে ওই বিস্ফোরণের পর গতকাল পর্যন্ত ৯ দগ্ধের মধ্যে এক শিশু ও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দায়িত্বশীলদের সবাই ঘটনা বিষয়ে উদাসীন থেকেছেন। অথচ একই বাড়িতে বলে এর আগেও দুবার গ্যাস বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবু কর্তৃপক্ষ ও বাড়ির মালিকের টনক নড়েনি।
এদিকে এদিন দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন নারায়ণগঞ্জ তিতাসের ইমার্জেন্সি একটি দল। তারা অনুসন্ধান করে গ্যাসের আলামত। নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাসের সহকারী ম্যানেজার রুহুল আমিন জানান, পরীক্ষা করে গ্যাসের আলামত পাওয়া গেছে। এখনো গ্যাসের গন্ধ ছড়াচ্ছে। বিস্ফোরণ গ্যাস থেকে হতে পারে বলে মনে হচ্ছে। তবে লিক কোথায় হয়েছে তা চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, মিজমিজি পূর্বপাড়া জাকির খন্দকারের আধাপাকা বাড়িতে গত শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে গ্যাস বিস্ফোরণ ঘটে।
এতে আগুন ধরে গিয়ে দুটি পরিবারের নারী শিশুসহ নয়জন দগ্ধ হন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রবিববার সকালে ১ মাসের এক শিশু ও সোমবার তাহেরা বেগম (৬৫) মারা যান।