শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে ভেসে যাওয়া দুই শিশুর লাশ উদ্ধার হয়েছে। জেলার পাহাড়ি এলাকার চারটি নদীর পানিও কমতে শুরু করেছে। উজানে পানির প্রবাহ কিছুটা কমলেও এখনো প্লাবিত ভাটির অন্তত ১০টি নতুন গ্রাম। তবে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার নালিতাবাড়ীর বুরুঙ্গা ব্রিজ এলাকায় লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী হুমায়ুনের (১২) লাশ পাওয়া যায়। ওই দিন রাতেই স্থানীয়রা হুমায়ুনের লাশ উদ্ধার করে। এ ছাড়া বৃহস্পতবিার ঝিনাইগাতীর তামাগাঁও এলাকায় নদীতে ভেসে আসা গাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া ইসমাইলের (১৭) লাশ গতকাল সকালে খৈলকুড়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রশাসন ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তীরবর্তী অন্তত ১৫টি পরিবারের বড়িঘর ভেসে গেছে।
শুধু খৈলকুড়া বাজার এলাকাতেই বৃহস্পতিবার পানির তীব্র স্রোতে বিদ্যুতের খুঁটিসহ প্রায় ১৪টি ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। এ ছাড়া পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতীর অন্তত ১১৩ হেক্টর রোপা আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। একই সঙ্গে ৫০টিরও বেশি মাছের ঘের ভেসে গেছে। এতে কৃষক ও খামারিরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, বর্তমানে জেলার সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ভাটি এলাকার মানুষ এখনো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।