চিকিৎসকসহ জনবল সংকটে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগী ও স্বজনরা। হাসপাতালে ১১ জন মেডিকেল অফিসার ও ছয়জন কনসালট্যান্ট থাকার কথা। কিন্তু সেখানে একজন মেডিকেল অফিসার ও একজন কনসালট্যান্ট দিয়ে চিকিৎসাসেবা চলছে। চিকিৎসকের অভাবে অপারেশন থিয়েটার বন্ধ আছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই একজনও। অফিস স্টাফের অনেক পদ শূন্য। এই এলাকায় বেশি সাপে কাটা রোগী আসে। চিকিৎসাসেবা ও তাদের পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন দেওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। ফলে কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তিন লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবার ভরসাস্থল নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। বহির্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ রোগী সেবা নিতে আসেন। ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চিকিৎসকের অভাবে বন্ধ অপারেশন থিয়েটার, এক্স-রে সেবা। রোগীরা বলছেন, হাসপাতালে এক্স-রেসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ থাকলেও চিকিৎসক না থাকায় রোগীদের ছুটতে হয় অন্য স্থানে।
রোগীর সঙ্গে আসা আবদুল গফুর বলেন, শনিবার বিকালে রোগী ভর্তি করিয়েছি। কিন্তু সকাল পর্যন্ত ডাক্তারের খবর নেই। শুনেছি, ডাক্তার আছেন একজন। তাই সবাইকে চিকিৎসা দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না।
রোগী রেহেনা আকতার বলেন, এখানে কোনো নারী ডাক্তার নেই। সব সমস্যা পুরুষ ডাক্তারের কাছে বলা সম্ভব হয় না।
নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সোলাইমান হোসেন জানান, চিকিৎসক সংকট, সেবা দিতে প্রতিদিনই হিমশিম খেতে হয়। আমি নবাবগঞ্জ ও ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্ব পালন করছি। তিনি আরও জানান, নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ জন মেডিকেল অফিসার ও ছয়জন কনসালট্যান্ট থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে একজন মেডিকেল অফিসার ও একজন কনসালট্যান্ট দিয়ে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চলছে। চিকিৎসকের অভাবে অপারেশন থিয়েটার বন্ধ আছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকর্মী নাই। কিছু সংখ্যক স্টাফের পদ শূন্য। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে।