নানান সংকট ও অব্যবস্থাপনায় ধুঁকছে নেত্রকোনা রেল বিভাগ। স্টেশন মাস্টারসহ বুকিং সহকারী নেই জেলার অনেক স্টেশনে। নানাবিধ সমস্যায় একেবারে বন্ধ হেয়ে গেছে জেলার চারটি স্টেশন। নেত্রকোনা বড় স্টেশনের গণশৌচাগার দীর্ঘদিন পড়ে আছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। অন্যগুলোরও অবস্থা প্রায় একই। নেত্রকোনায় রয়েছে ২১২ কিলোমিটার রেল সড়ক। জেলার চারটি উপজেলার ভিতর দিয়ে চলে গেছে রেললাইন। এর আওতায় রয়েছে মোট ১৩টি স্টেশন। এর মধ্যে কিছু স্টেশনে দীর্ঘদিন ধরে নেই মাস্টার এবং বুকিং সহকারী। একেবারে বন্ধ রয়েছে পাঁচটি স্টেশন। এগুলো হলো- মোহনগঞ্জ রুটে বাংলা ও অতীতপুর স্টেশন এবং পূর্বধলা-শ্যামগঞ্জ রুটের জালশুকা, চল্লিশা ও হিরণপুর। পূর্বধলা স্টেশনে মাস্টার না থাকায় শ্যামগঞ্জ থেকে বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হয়। ঠাকুরাকোনা স্টেশনে ট্রেন থামলেও নেই মাস্টার। বাকিগুলোতে নেই বুকিং সহকারী। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ট্রেনে চলাচলকারীরা। নেত্রকোনা বড় স্টেশনে একটি মাত্র পাবলিক টয়লেট চার বছর ধরে পরিত্যক্ত পড়ে আছে। প্রায় একই অবস্থা অন্য স্টেশনের শৌচাগারের।
নেত্রকোনা বড় স্টেশনের মাস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন পাঁচটি বন্ধ থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, লোকবল সংকটসহ নানান সমস্যা রয়েছে স্টেশনগুলোতে। বড় স্টেশনের পাবলিক শৌচাগারটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত। এটি নিলাম প্রক্রিয়া হলে ঠিক হয়ে যাবে। নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জ জংশন স্টেশন মাস্টার জহিরুল ইসলাম বলেন, পূর্বধলায় আমি বাড়তি দায়িত্বে আছি। রেল খাতের বিভিন্ন সমস্যা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি, দ্রুতই সমাধান হবে। জানা গেছে, ঢাকা থেকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পর্যন্ত দুটি আন্তনগর এবং একটি মহুয়া কমিউটার ট্রেন চলাচল করলেও গত বছর থেকে বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেনটি। অন্যদিকে ঢাকা-জারিয়া পূর্বধলা রুটে একটি বলাকা কমিউটার ও দুটি লোকাল ট্রেন চলাচল করছে।