টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপ-নির্বাচনে ৪জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার সময় জেলা রির্টানিং অফিসার আলিমুজ্জামান প্রার্থীদের হাতে প্রতীকের নমুনা তুলে দেন।
প্রতীক প্রাপ্তরা হলেন কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমকে গামছা, আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারীকে নৌকা, বিএনএফ’র আতাউর রহমান খানকে টেলিভিশন ও ন্যাশনাল পিপলস পাটির ইমর’ল কায়েসকে আম প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেন, ‘আগামী ১০ নভেম্বর কালিহাতী আসনে অবাধ ও সুষ্ঠু উপ-নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়লাভ করে তবে আমি সবার আগে সরকারি দলের প্রার্থীকে অভিনন্দন জানাব। সরকারি দলের প্রার্থীরও সেই মনোভাব থাকা দরকার। জনগণ যদি ভোট দিতে পারে তবে সেটা হবে সরকারের সব চেয়ে বড় সফলতা।’ তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আমার প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করেছিল। অন্যায়ভাবে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিল। আইনি লড়াইয়ে আমি বিজয়ী হয়ে হাইকোর্টের আদেশে আমার প্রার্থীতা বৈধ হয়েছে।’ হাইকোর্টের রায়ের প্রতি সম্মান দেখিয়ে রিটানিং অফিসার তার মনোনয়নপত্র বৈধ করার ঘোষণা ও প্রতীক বরাদ্দের জন্য রির্টানিং অফিসারকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
কাদের সিদ্দিকী আরো বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান বলে মনে করি। নির্বাচন কমিশন তাদের সেই সক্রিয়তা বজায় রাখবেন। রেফারী হয়ে কোনো দলের পক্ষে যাওয়ার সুযোগ নির্বাচন কমিশনের নেই। তাই আগামী উপ-নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করে সেটাই প্রমাণ করতে হবে। ’
জেলা রির্টানিং অফিসার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার পরই আমি দ্র’ত বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বৈধ হিসেবে গ্রহণ করেছি এবং প্রতীক বরাদ্দ করেছি। তিনি বলেন, ‘আইন বিধি-বিধানমতে আমি নির্বাচন পরিচালনা করবো।’ সকল প্রার্থীদের তিনি আচরণ বিধি মেনে চলার অনুরোধ করেন তিনি।
এদিকে, প্রার্থীরা আজ প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পরপরই দলীয় প্রতীক নিয়ে জনসংযোগে নেমে পড়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/২২ অক্টোবর ২০১৫/শরীফ