ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলায় শ্বশুরের বিরুদ্ধে একাধিকবার নিজের ছেলের বউকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর থেকে শ্বশুর মাদু মাঝি পলাতক রয়েছেন।
অভিযুক্ত মাদু মাঝির বাড়ি উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নে। নির্যাতিতা ওই নারী মাদু মাঝির ছেলে সোহাগের স্ত্রী।
নির্যাতিত গৃহবধূ অভিযোগ করে বলেন, ‘তিন আগে সোহাগের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। সোহাগ নদীতে মাছ ধরতে যায় এবং অধিকাংশ সময় রাতে সে বাড়িতে ফেরে না। এ সুযোগে শ্বশুর আমাকে বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব দেন। আমি লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলতাম না। প্রায় এক বছর আগে স্বামী নদীতে মাছ শিকার করতে গেলে শ্বশুর আমাকে ভয় দেখিয়ে রাতে জোর করে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। বিষয়টি আমি কাউকে বললে আমার সংসার ভাঙার এবং আমাকে হত্যার হুমকি দেন। তারপর থেকে একইভাবে মাদু মাঝি আমাকে জোর করে রাতভর ধর্ষণ করতে থাকেন। তার এই যৌন নির্যাতনে আমি অতিষ্ঠ হয়ে উঠি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৬ অক্টোবর রাত ১টার দিকে একই সুযোগে মাদু মাঝি আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। আমার রক্তপাত শুরু হলে চিৎকার দিই। আমার চিৎকারে ভাসুরের স্ত্রী সাহানুর ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। তারা লাঠিসোটা নিয়ে তাকে ধাওয়া করেন। এ সময় শ্বশুর পালিয়ে যান।’
নির্যাতিতার ভাসুরের স্ত্রী সাহানুর বলেন, ‘আমার জায়ের চিৎকারে আমি আলো নিয়ে তার কাছে গেলে খুব খারাপ অবস্থায় দেখতে পাই। আমাদের দেখে শ্বশুর পালিয়ে যান। এখন পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।’
শ্বশুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি আরও বলেন, ‘বিয়ের পর আমার শ্বশুর বিভিন্ন সময় আমাকেও কুপ্রস্তাব দিতেন। বিষয়টি আমি স্বামী ও শাশুড়িকে জানালে তিনি আমাকে কম জ্বালাতেন।’
মাদু মাঝির স্ত্রী মমতাজ বলেন, ‘স্বামীর সঙ্গে এসব কারণে আমার মিল ছিল না। আমি প্রায় সময় বাবার বাড়িতে থাকি। ওই ঘটনার দিনও বাড়িতে ছিলাম না। সকালে বাড়িতে এসে ছেলে ও বউয়ের কাছে ঘটনা শুনি। আমার স্বামী লম্পট। তার শাস্তি হওয়া উচিত।’
লালমোহন থানার সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। তবে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/২২ অক্টোবর, ২০১৫/মাহবুব