শারদীয় দুর্গাপুজার ছুটি কাটাতে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতে নানা বয়সী পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। হোটেল মোটেল গুলোতে সিট সংকট দেখা দিয়েছে। রেস্তোরাঁসহ পর্যটনমুখী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কেনাবেচায় ধুম পড়ে গেছে। রাখাইন মার্কেট, বৌদ্ধ মন্দিরসহ ওখানকার দর্শনীয় স্পটগুলোতে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। আগত দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও নৌ-পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে কুয়াকাটা সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে নেচে গেয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছে বিভিন্ন বয়সের শত শত পর্যটক। প্রচুর সংখ্যক পর্যটকরা বাস, মাইক্রোবাসে এখানে এসেছে। অনেকে হোটেলে সিট না পেয়ে গাড়িতেই আবস্থান করছে। তবে নিম্নমানের আবাসিক হোটেল মালিকরা পর্যটকদের ভিড়কে পুঁজি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। এছাড়া খাবার হোটেলগুলোতে অতিরিক্ত টাকা রাখছেন বলে একাধিক পর্যটকের অভিযোগ।
শাহ্ আলী দম্পতি কুয়াকাটায় ভ্রমণে এসে তিনি জানান, পর্যটকদের জন্য এটি খুব সুন্দর স্থান। গত দুই দিন ধরে হোটেলে সিটের জন্য চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে কলাপাড়া পৌর শহরের একটি আবাসিক হোটেলে উঠেছি। তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর এই কুয়াকাটার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান দেখে ভালই লাগছে।
অভিজাত আবাসিক হোটেল নীলাজ্ঞনা’র ব্যবস্থাপক সৈয়দ মোস্তফা হাবিব জানান, পর্যটকদের প্রচুর চাপ রয়েছে। আমাদের হোটেলে কোন রুম খালি নাই। এ অবস্থা আরো ৩/৪ দিন থাকবে বলে তিনি মনে করেন।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওর্নাস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেব শরীফ জানান, কুয়াকাটার সব হাটেল মোটেল অগ্রিম বুকিং হয়ে আছে। যারা বুকিং ছাড়া এসেছে সিট পাচ্ছেনা বলে তিনি জানান।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোন এর ইনচার্জ সিনিয়র এএসপি মীর ফসিউর রহমান জানান, পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন দর্শনীয় পয়েন্টে আমাদের পাশিপাশি নৌ-পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২২ অক্টোবর, ২০১৫/মাহবুব