ঢাকার গাবতলীতে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে নিহত পুলিশের সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মো. ইব্রাহিম মোল্লার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টায় তার গ্রামের বাড়ী বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার সোলারকোলার পালপাড়া জামে মসজিদ প্রঙ্গণে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে পরিবারিক করবস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। জানাজায় কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মাহফুজুর রহমানসহ কয়েক হাজার মানুষ আংশ নেয়।
নিহত এএসআই ইব্রাহিমের মরদেহ রাত পৌনে ৯টার দিকে পুলিশ ভ্যানে ঢাকা বাগেরহাটের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। এসময় সেখানে এক হৃদয় বিদারক অবস্থার সৃষ্টি হয়। নিহত ইব্রাহিম মোল্লার মরদেহ একনজর দেখতে ছুটে আসেন এলাকার হাজার-হাজার নর-নারী। তখন ইব্রাহিমের স্বজনদের কান্না ও আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে এলাকার বাতাস। কেউই সান্ত্বনা দিতে পারছে না সন্তান হারা বৃদ্ধ বাবা-মাকে। অনেক মানুষের ভীড়ে নিহত এএসআইয়ের অবুঝ দুই শিশু জান্নতী (৬) ও মোহাম্মদ (দেড় বছর) অপলোক দৃষ্টি কেবলি খুঁজে ফিরছিলো তাদের প্রিয় বাবাকে।
শনিবার সকালে নিহত এএসআই ইব্রাহিমের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিতে তার বাড়ীতে ছুটে যান মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশা এমপি। পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় এমপিকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান নিহত ইব্রাহিমের স্ত্রী খায়রুন্নেসা ও বাবা আব্দুস সাত্তার মোল্লাসহ তার স্বজনেরা। বৃদ্ধ বাবা-মা, বিধবা বোন, স্ত্রী-সন্তানসহ ৮ সদস্যের পরিবারের এক মাত্র উপর্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এই পরিবারটি। তাদের বর্তমান আবস্থা দ্রুত প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা ও দেশের জন্য জীবন দেয়া এএসআই ইব্রাহিমের আসহায় এই পরিবারটির পাশে সরকার দাঁড়াবে বলে এমপি বাদশা পরিবারটিকে আশ্বাস দেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার গাবতলীর পর্বত সিনেমা হলের সামনে পুলিশের একটি তল্লাশি চৌকিতে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন দারুস সালাম থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ইব্রাহিম মোল্লা।
বিডি-প্রতিদিন/২৪ অক্টোবর, ২০১৫/মাহবুব